ঢাকা ১১:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিয়ের এক বছরের মাথায় বিমান দুর্ঘটনায় চলে গেলেন পাইলট তৌকির

চেকপোস্ট ডেস্ক::

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম নিহত হয়েছেন। সদ্য বিবাহিত এই তরুণ পাইলটের মৃত্যুতে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুই বাড়িতেই নেমে এসেছে স্তব্ধতা ও শোকের ছায়া।

জানা গেছে, এক বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তৌকির ইসলামের। স্ত্রী আকশা আহম্মেদ নিঝুম ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা।
বিয়ের ছয় মাস পর, গত ফেব্রুয়ারিতে রাজশাহীর নানকিং কমিউনিটি সেন্টারে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। এরপর থেকে নবদম্পতি ঢাকায় বিমানবাহিনীর কোয়ার্টারে বসবাস করছিলেন।

গাড়িচালক আলী হাসান বলেন, “স্যার (তৌকির) অনেক নম্র-ভদ্র ছিলেন। কোনো অহংকার ছিল না তার মধ্যে। শেষ ঈদে রাজশাহীতে এসেছিলেন। কোরবানিও দেন। ঈদের পর ঢাকায় রেখে আসার সময় পুরো কোয়ার্টার ঘুরিয়ে দেখিয়েছিলেন।”

শেষবার রাজশাহীতে দেখা মিলেছিল পরিবারের সঙ্গে। এর পরই ঘটে সেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।

পাইলট তৌকির ইসলাম ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার কানসার্ট গ্রাম ও রাজশাহীর মহানগর এলাকায় বসবাসরত পরিবারের সদস্য। তার মৃত্যুতে দুই জেলায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ১২:১৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
৫২৫ বার পড়া হয়েছে

বিয়ের এক বছরের মাথায় বিমান দুর্ঘটনায় চলে গেলেন পাইলট তৌকির

আপডেট সময় ১২:১৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম নিহত হয়েছেন। সদ্য বিবাহিত এই তরুণ পাইলটের মৃত্যুতে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুই বাড়িতেই নেমে এসেছে স্তব্ধতা ও শোকের ছায়া।

জানা গেছে, এক বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তৌকির ইসলামের। স্ত্রী আকশা আহম্মেদ নিঝুম ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা।
বিয়ের ছয় মাস পর, গত ফেব্রুয়ারিতে রাজশাহীর নানকিং কমিউনিটি সেন্টারে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। এরপর থেকে নবদম্পতি ঢাকায় বিমানবাহিনীর কোয়ার্টারে বসবাস করছিলেন।

গাড়িচালক আলী হাসান বলেন, “স্যার (তৌকির) অনেক নম্র-ভদ্র ছিলেন। কোনো অহংকার ছিল না তার মধ্যে। শেষ ঈদে রাজশাহীতে এসেছিলেন। কোরবানিও দেন। ঈদের পর ঢাকায় রেখে আসার সময় পুরো কোয়ার্টার ঘুরিয়ে দেখিয়েছিলেন।”

শেষবার রাজশাহীতে দেখা মিলেছিল পরিবারের সঙ্গে। এর পরই ঘটে সেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।

পাইলট তৌকির ইসলাম ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার কানসার্ট গ্রাম ও রাজশাহীর মহানগর এলাকায় বসবাসরত পরিবারের সদস্য। তার মৃত্যুতে দুই জেলায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।