চিরিরবন্দরে পাঠ্যবই সংকট, ব্যাহত শিক্ষাকার্যক্রম
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে নতুন শিক্ষাবর্ষের ক্লাস শুরু হলেও অধিকাংশ শিক্ষার্থী এখনও পাঠ্যবই হাতে পায়নি। বই সংকটের কারণে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে উপস্থিত থাকলেও সঠিকভাবে পাঠদান সম্ভব হচ্ছে না।
উপজেলার ১৯৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বই পেলেও চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এখনও বই হাতে পায়নি। হরিশচন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম মুক্তা জানান, প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির বই বিতরণ করা হয়েছে। তবে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বই এই মাসের মধ্যে পৌঁছে যাবে। উপজেলার ৭৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা মাত্র তিনটি করে বই পেলেও ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এখনও কোনো বই পায়নি। দাখিল মাদ্রাসাগুলোর শিক্ষার্থীরাও একই সমস্যায় ভুগছে।
নশরতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মছিরত আলী বলেন, কিছু বই বিতরণ করা গেলেও অধিকাংশ শিক্ষার্থী এখনও বই পায়নি। তবে আশা করছি, চলতি মাসের মধ্যেই সব শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছাবে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মিনারা বেগম জানান, “প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির জন্য বই বিতরণ করা হয়েছে। বাকি শ্রেণির বই বিতরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং দেরিতে আসা বইগুলোও খুব শিগগিরই সরবরাহ করা হবে।”
মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. ফজলে এলাহী বলেন, মাধ্যমিক ও মাদ্রাসার কিছু বই বিতরণ করা সম্ভব হয়েছে। তবে বাকি বই দ্রুত সরবরাহ করা হবে বলে আমরা আশাবাদী।
বই না পাওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী ক্লাসে অনুপস্থিত থাকছে। কিছু বিদ্যালয়ে পুরোনো বই ও হাতে লেখা নোটের মাধ্যমে ক্লাস নেওয়া হলেও শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে। অভিভাবকরা এ সমস্যার দ্রুত সমাধান দাবি করেছেন।