বাগেরহাটে আদালত নাজিরের বিরুদ্ধে
হামলা, লুটপাট ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
বাগেরহাটে বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির অঞ্জন কুমার দাশের বিরুদ্ধে জমি দখল করতে গিয়ে বসত বাড়িতে হামলা এবং মালামাল লুটের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৬ নভেম্বর) বাগেরহাট প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন ফকিরহাট উপজেলার চাঁদেরডোন গ্রামের ব্যবসায়ী শুসান্ত কুমার দাস।
তিনি অভিযোগ করেন, চাঁদেরডোন গ্রামের বাসিন্দা এবং বাগেরহাট আদালতের নাজির অঞ্জন কুমার দাশের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এর ধারাবাহিকতায় ১২ নভেম্বর রাত ৮ টার দিকে অঞ্জন কুমার দাশ ও তার লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শুসান্ত কুমার দাস এবং তার ভাই সঞ্জয় দাসের নাম ধরে গালিগালাজ করতে থাকে। তারা বাড়িতে না থাকায়, শুসান্তের বোন, করুনা রানী দাশ জানতে চাইলে তারা জোরপূর্বক ঘরে প্রবেশ করে এবং মূল্যবান মালামাল লুটে নেয়। তার মধ্যে ছিল কম্পিউটার, সিলিং ফ্যান, ওয়াইফাই রাউটার, চেয়ার, টেবিল, নারকেল, সুপারি, এলইডি টিভি এবং মুরগীর ফার্ম থেকে ৭০টি ব্রয়লার মুরগী। যাওয়ার সময় তারা শাসিয়ে যায়, জমি ছাড়লে প্রাণে মারার হুমকি দেয়।
এছাড়া শুসান্ত কুমার দাস দাবি করেন, ঘটনার পর ফকিরহাট থানায় মামলা করতে গেলে নাজির অঞ্জন কুমার দাশের প্রভাবে পুলিশ তার মামলা নথিভুক্ত করেনি। বরং অঞ্জন কুমার দাশ তাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, “আমরা এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।”
শুসান্ত কুমার দাসের ভাই সঞ্জয় কুমার দাস অভিযোগ করেন, অঞ্জন কুমার দাশ ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। তিনি জানান, অঞ্জন কুমার দাশ চাকরি দেয়ার নাম করে টাকা নিয়েছেন এবং চাকরি না পেয়ে টাকা ফেরত চাইতে গেলে গালিগালাজ ও ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছেন। বর্তমানে তার চারতলা বাড়ি নির্মাণের কাজ চলছে এবং তার আত্মীয়দের নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে শুসান্ত কুমার দাস প্রশাসনের কাছে তাদের পৈত্রিক জমি সুষ্ঠুভাবে ফিরে পেতে হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অন্যদিকে, নাজির অঞ্জন কুমার দাশ এ সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি কারও বাড়িতে হামলা করিনি, কারও জমি দখল করার চেষ্টা করিনি। তাদের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে, তাই এসব মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে।”