ঢাকা ০৪:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বাভাবিক হচ্ছে গুলিস্তান

চেকপোস্ট প্রতিবেদক::

শহীদ নূর হোসেন দিবসকে ঘিরে গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে সারা দিন ছিল টান টান উত্তেজনা। দিনভর রাজনৈতিকদলসহ ছাত্র-জনতার ছিল স্লোগান আর বক্তব্যের হুংকার। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সড়কে নামার সুযোগই দেয়নি জুলাই-আগস্টে গণআন্দোলনের উদ্যোক্তারা। বেলা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। বর্তমানে ২০-৩০ জনের একটা দল অবস্থান করছে সেখানে। ফলে গোল চত্বরমুখী চারটি সড়কেই যানবাহন চলাচল করছে।

তবে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আন্দোলনকারী তরুণদের অবস্থান করতে দেখা গেছে।

গুলিস্তান জিরো পয়েন্টকে ঘিরে কাল থেকেই উত্তেজনা ছড়াতে থাকে। শহীদ নূর হোসেন দিবসকে কেন্দ্র করে রাজধানীর গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি দেয় আওয়ামী লীগ। আর তা প্রতিহত করতে সকাল থেকেই পুরো গুলিস্তান এলাকা দখলে নিয়ে নেয় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।

তবে কর্মসূচি ঘোষণা করলেও আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মী গুলিস্তান এলাকায় নামেনি। সন্দেহজনক কয়েকজনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। শেষে বিকেল ৪টার দিকে মতিঝিল বিআরটিসি বাস ডিপো থেকে আওয়ামী লীগের ব্যানারে কিছু নেতাকর্মী ঝটিকা মিছিল করে পালিয়ে যায়।

এদিকে, জিরো পয়েন্টে উপস্থিত হয়ে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, আওয়ামী লীগ সরাসরি গণহত্যার সাথে জড়িত। ছাত্রলীগের আগে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা দরকার ছিল। এ দলটির প্রতি ন্যূনতম সহানুভূতি দেখানো যাবে না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলবো, কেন খুনিদের গ্রেপ্তার করছেন না? আপনারা কি আওয়ামী লীগকে ধরতে ভয় পাচ্ছেন? এই দেশের বিপ্লবী ছাত্র-জনতাকে বলবো পুলিশ আওয়ামী খুনিদের আটক না করলে, আপনারা এই খুনিদের ধরে পুলিশ দেন।

রাশেদ খান বলেন, আওয়ামী লীগ আজ গর্তের মধ্যে লুকিয়ে আছে। কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এতদিন শেখ মুজিবের ছবি নিয়ে মিছিল করেছে, আর এখন ট্রাম্পের ছবি নিয়ে মিছিল করার পায়তারা করছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হাতে কি আওয়ামী লীগের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে? আওয়ামী লীগের কর্মীদের বলতে চাই—আপনারা শেখ হাসিনার ফাঁদে পা দেবেন না। শেখ হাসিনা যদি বাপের বেটি হতো, প্রকৃতপক্ষে শেখ মুজিবের কন্যা হতো, তাহলে এই বাংলাদেশ থেকে এভাবে পালিয়ে যেত না।

তিনি বলেন, আজকে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে, তার প্রেতাত্মারা বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করছে। শ্রদ্ধা জানানোর পরে আমরা মিছিল করব, দেখতে চাই কোথায় আওয়ামী লীগ আছে? আওয়ামী লীগের ঠিকানা এই বাংলাদেশে হবে না। তবে আওয়ামী লীগের নিরীহ ও সাধারণ নেতাকর্মীদের বলবো, আপনারা আওয়ামী লীগ ত্যাগ করে দুধ দিয়ে গোসল করে নিন। শেখ হাসিনা আপনাদের কথা ভাবে নাই। সে তার পরিবার ছাড়া কাউকে আপন মনে করে না।

এর বাইরেও বিভিন্ন রাজনৈতিকদল একত্রিত হয়ে অথবা অন্যান্য সংগঠনের সঙ্গে যৌথভাবে কর্মসূচিতে অংশ নেয়।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০১:৩৪:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪
৫০৩ বার পড়া হয়েছে

স্বাভাবিক হচ্ছে গুলিস্তান

আপডেট সময় ০১:৩৪:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

শহীদ নূর হোসেন দিবসকে ঘিরে গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে সারা দিন ছিল টান টান উত্তেজনা। দিনভর রাজনৈতিকদলসহ ছাত্র-জনতার ছিল স্লোগান আর বক্তব্যের হুংকার। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সড়কে নামার সুযোগই দেয়নি জুলাই-আগস্টে গণআন্দোলনের উদ্যোক্তারা। বেলা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। বর্তমানে ২০-৩০ জনের একটা দল অবস্থান করছে সেখানে। ফলে গোল চত্বরমুখী চারটি সড়কেই যানবাহন চলাচল করছে।

তবে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আন্দোলনকারী তরুণদের অবস্থান করতে দেখা গেছে।

গুলিস্তান জিরো পয়েন্টকে ঘিরে কাল থেকেই উত্তেজনা ছড়াতে থাকে। শহীদ নূর হোসেন দিবসকে কেন্দ্র করে রাজধানীর গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি দেয় আওয়ামী লীগ। আর তা প্রতিহত করতে সকাল থেকেই পুরো গুলিস্তান এলাকা দখলে নিয়ে নেয় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।

তবে কর্মসূচি ঘোষণা করলেও আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মী গুলিস্তান এলাকায় নামেনি। সন্দেহজনক কয়েকজনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। শেষে বিকেল ৪টার দিকে মতিঝিল বিআরটিসি বাস ডিপো থেকে আওয়ামী লীগের ব্যানারে কিছু নেতাকর্মী ঝটিকা মিছিল করে পালিয়ে যায়।

এদিকে, জিরো পয়েন্টে উপস্থিত হয়ে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, আওয়ামী লীগ সরাসরি গণহত্যার সাথে জড়িত। ছাত্রলীগের আগে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা দরকার ছিল। এ দলটির প্রতি ন্যূনতম সহানুভূতি দেখানো যাবে না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলবো, কেন খুনিদের গ্রেপ্তার করছেন না? আপনারা কি আওয়ামী লীগকে ধরতে ভয় পাচ্ছেন? এই দেশের বিপ্লবী ছাত্র-জনতাকে বলবো পুলিশ আওয়ামী খুনিদের আটক না করলে, আপনারা এই খুনিদের ধরে পুলিশ দেন।

রাশেদ খান বলেন, আওয়ামী লীগ আজ গর্তের মধ্যে লুকিয়ে আছে। কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এতদিন শেখ মুজিবের ছবি নিয়ে মিছিল করেছে, আর এখন ট্রাম্পের ছবি নিয়ে মিছিল করার পায়তারা করছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হাতে কি আওয়ামী লীগের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে? আওয়ামী লীগের কর্মীদের বলতে চাই—আপনারা শেখ হাসিনার ফাঁদে পা দেবেন না। শেখ হাসিনা যদি বাপের বেটি হতো, প্রকৃতপক্ষে শেখ মুজিবের কন্যা হতো, তাহলে এই বাংলাদেশ থেকে এভাবে পালিয়ে যেত না।

তিনি বলেন, আজকে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে, তার প্রেতাত্মারা বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করছে। শ্রদ্ধা জানানোর পরে আমরা মিছিল করব, দেখতে চাই কোথায় আওয়ামী লীগ আছে? আওয়ামী লীগের ঠিকানা এই বাংলাদেশে হবে না। তবে আওয়ামী লীগের নিরীহ ও সাধারণ নেতাকর্মীদের বলবো, আপনারা আওয়ামী লীগ ত্যাগ করে দুধ দিয়ে গোসল করে নিন। শেখ হাসিনা আপনাদের কথা ভাবে নাই। সে তার পরিবার ছাড়া কাউকে আপন মনে করে না।

এর বাইরেও বিভিন্ন রাজনৈতিকদল একত্রিত হয়ে অথবা অন্যান্য সংগঠনের সঙ্গে যৌথভাবে কর্মসূচিতে অংশ নেয়।