দলিল লিখক কাউছারের বিরুদ্ধে অনিয়মের লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে
হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার মুড়িয়াউক গ্রামের লাখাই সাবরেজিস্টার অফিসের দলিল লিখক কাউছার আহমেদ এর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির লিখিত পাওয়া গেছে। বাদীর দরখাস্ত সুত্রে জানা যায় লাখাই সাবরেজিস্টার অফিসের দলিল লিখক কাউছার আহমেদ বিভিন্ন সময়ে অনিয়ম ও দূর্নীতির মাধ্যমে টাকার পাহাড় গড়ে তুলেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায় গত ৪ নভেম্বর মুড়িয়াউক গ্রামের মৃত আঃ নুরের স্ত্রীর পক্ষে জমিলা খাতুনের ছেলে মোঃ জুন্নান মিয়া হবিগঞ্জ জেলা রেজিস্ট্রারের বরাবর দলিল লিখক কাউছার আহমেদের বিরুদ্ধে ভুয়া ওয়ারিশান সাজিয়ে দলিল লিখক কাউছার আহমেদ নিজে দলিল মুসাবিদা করে তাদের দখলীয় জমি অন্যের নামে সাফ কবলা রেজিস্ট্রার করে দেন।
দরখাস্ত সুত্রে আরো জানা যায় দলিল লিখক কাউছার আহমেদের মুল পেশাই হলো অনিয়ম ও দূর্নীতি করে দলিল সম্পাদন করে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন। দরখাস্তকারী তার দরখাস্তে উল্লেখ করেন যে দলিল লিখক এর সম্পাদিত দলিল নম্বর ২৬৮২/২৪ইং দলিল বাতিল ও দলিল লিখক কাউছার আহমেদ এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আবেদন করে। এ বিষয়ে দলিল লিখক কাউছার আহমেদ এর মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি মুসলিম টাইমস কে জানান, ২৬৮১/২৪ ইং দলিল দাতা আমাকে যে সব কাগজ পত্র দিয়েছে সে মোতাবেক আমি দলিল মুসাবিদা করে সম্পাদন করে দিয়েছি তবে পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি ২৬৮১/২৪ ইং নম্বর দলিল দাতা ও গ্রহীতার দেয়া তথ্য ও কাগজাত এবং সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে ঔ দলিলে উল্লেখিত জমিটি প্রকৃত পক্ষে মালিক দরখাস্তকারী জমিলা খতুন ও তার ছেলে মোঃ জুন্নন মিয়া। এ ঘটনায় লাখাই উপজেলা জোর চলছে নানা গুঞ্জন। ইতিপূর্বেও তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগের কারনে লাখাই সাবরেজিস্টার অফিসে কাউছার আহমেদ কর্তৃক দলিল মুসাবিদা গ্রহন না করার জন্য জেলা রেজিস্ট্রার এক পত্রের মাধ্যমে লাখাই সাব-রেজিষ্টার কে নির্দেশ দিয়েছেন।