ঢাকা ১১:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হিলিতে বাড়ছে কলা চাষ, ভালো দামে খুশি চাষিরা

চেকপোস্ট ডেস্ক::

: কলা চাষের উপযোগী উঁচু জমি থাকায় দিনাজপুরের হিলিতে দিন দিন বাড়ছে কলার চাষ। খরচ কম ও ভালো দাম পাওয়ার নিশ্চয়তার কারণেই মূলত কৃষকরা এ চাষে ঝুঁকছেন।

সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মাঠের পর মাঠ শুধুই কলার খেত। গাছে ঝুলছে কাদি। আর কৃষকরা ব্যস্ত পরিচর্যায়। আপনমনে তারা সকাল-সন্ধ্যা এসব গাছের দেখভাল করছেন। সবার ঠোঁটেই তৃপ্তির হাসি

কথা হয় তেমনই একজনের সঙ্গে। কলা চাষি আনোয়ার হোসেন এই প্রতিবেদককে বলেন, দেশব্যাপী দিনাজপুরের কলার চাহিদা থাকায় সারা বছর মেহেরসাগর, মালভোগ, সবরি, অগ্নি সাগর, কাঁচা, চিনিচম্পা ও কাঠালিসহ বিভিন্ন জাতের কলা চাষ করা হয়। এছাড়া ধানের চেয়ে কলা চাষে বেশি লাভ হওয়ায় কৃষকরা এখন কলা চাষে বেশি ঝুঁকছেন।

তিনি আরও বলেন, বাগান থেকে এসব কলা বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কাদি কলা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি করছি। আমার মতো অনেকেই কলার ভালো দাম পেয়ে খুশি।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগে এক সময় এসব জায়গায়ই ধানের চাষ হতো। তবে বর্তমানে ধানের ফলন কমে যাওয়া, কলার চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়া এবং অধিক লাভজনক হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে এ ফসলের আবাদ। এ ছাড়া এখানবার মাটি ও আবহাওয়াও কলা চাষের উপযুক্ত। সবমিলিয়ে বিস্তৃত হচ্ছে কলার চাষ। আর এ চাষকে কেন্দ্র করেই ঘুরছে এ এলাকার অর্থনীতির চাকা।

এ বিষয়ে হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজেনা বেগম বলেন, উৎপাদিত কলার মান বজায় রাখতে কৃষি বিভাগ কৃষকদের সার্বক্ষণিক সহায়তা ও পরামর্শ দিয়ে আসছে। সেই সঙ্গে মাঝে মাঝে আমরা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে কলা চাষ বৃদ্ধির জন্য উঠান বৈঠক করছি।

তিনি আরও বলেন, দিনাজপুর জেলায় এ বছর ১ হাজার ১শ হেক্টর জমিতে কলার আবাদ হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, আগামী বছর আবাদ ও উৎপাদন দুই-ই বৃদ্ধি পাবে।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১২:৪১:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪
৫০৮ বার পড়া হয়েছে

হিলিতে বাড়ছে কলা চাষ, ভালো দামে খুশি চাষিরা

আপডেট সময় ১২:৪১:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪

: কলা চাষের উপযোগী উঁচু জমি থাকায় দিনাজপুরের হিলিতে দিন দিন বাড়ছে কলার চাষ। খরচ কম ও ভালো দাম পাওয়ার নিশ্চয়তার কারণেই মূলত কৃষকরা এ চাষে ঝুঁকছেন।

সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মাঠের পর মাঠ শুধুই কলার খেত। গাছে ঝুলছে কাদি। আর কৃষকরা ব্যস্ত পরিচর্যায়। আপনমনে তারা সকাল-সন্ধ্যা এসব গাছের দেখভাল করছেন। সবার ঠোঁটেই তৃপ্তির হাসি

কথা হয় তেমনই একজনের সঙ্গে। কলা চাষি আনোয়ার হোসেন এই প্রতিবেদককে বলেন, দেশব্যাপী দিনাজপুরের কলার চাহিদা থাকায় সারা বছর মেহেরসাগর, মালভোগ, সবরি, অগ্নি সাগর, কাঁচা, চিনিচম্পা ও কাঠালিসহ বিভিন্ন জাতের কলা চাষ করা হয়। এছাড়া ধানের চেয়ে কলা চাষে বেশি লাভ হওয়ায় কৃষকরা এখন কলা চাষে বেশি ঝুঁকছেন।

তিনি আরও বলেন, বাগান থেকে এসব কলা বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কাদি কলা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি করছি। আমার মতো অনেকেই কলার ভালো দাম পেয়ে খুশি।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগে এক সময় এসব জায়গায়ই ধানের চাষ হতো। তবে বর্তমানে ধানের ফলন কমে যাওয়া, কলার চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়া এবং অধিক লাভজনক হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে এ ফসলের আবাদ। এ ছাড়া এখানবার মাটি ও আবহাওয়াও কলা চাষের উপযুক্ত। সবমিলিয়ে বিস্তৃত হচ্ছে কলার চাষ। আর এ চাষকে কেন্দ্র করেই ঘুরছে এ এলাকার অর্থনীতির চাকা।

এ বিষয়ে হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজেনা বেগম বলেন, উৎপাদিত কলার মান বজায় রাখতে কৃষি বিভাগ কৃষকদের সার্বক্ষণিক সহায়তা ও পরামর্শ দিয়ে আসছে। সেই সঙ্গে মাঝে মাঝে আমরা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে কলা চাষ বৃদ্ধির জন্য উঠান বৈঠক করছি।

তিনি আরও বলেন, দিনাজপুর জেলায় এ বছর ১ হাজার ১শ হেক্টর জমিতে কলার আবাদ হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, আগামী বছর আবাদ ও উৎপাদন দুই-ই বৃদ্ধি পাবে।