ঢাকা ০৯:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেখ হাসিনাকে আশ্রয় কেন, প্রশ্ন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর

চেকপোস্ট ডেস্ক::

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সমালোচনা করেছেন ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। বাংলাদেশ ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ এনে সোরেন প্রশ্ন তুলেছেন, কিসের ভিত্তিতে শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দিয়েছে মোদি সরকার? খবর এনডিটিভির

রোববার (৩ নভেম্বর) রাতে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঝাড়খণ্ডে আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজেপির ইশতেহার প্রকাশ এবং “অনুপ্রবেশ” সম্পর্কে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিতর্কিত মন্তব্যের জবাবে রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। সোরেন উল্লেখ করেছেন, বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ ঘটে। একইসঙ্গে তিনি এই প্রশ্নও তুলেছেন যে, কেন্দ্রীয় সরকার কিসের ভিত্তিতে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দিয়েছে মোদি সরকার।

রোববার গাড়োয়া বিধানসভা আসনের রাঙ্কায় একটি নির্বাচনী সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন বলেন, আমি জানতে চাই, বাংলাদেশের সাথে বিজেপির কোনও ধরনের অভ্যন্তরীণ কোনও বোঝাপড়া আছে কিনা।

তিনি বলেন, দয়া করে আমাদের বলুন— কিসের ভিত্তিতে আপনি বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ভারতে অবতরণ করতে এবং আশ্রয় চাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন। বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীরা বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোর মাধ্যমেই ভারতে প্রবেশ করে। তারা নিজেরাই বলছে।

এর আগে, রোববার বিজেপির ইশতেহার প্রকাশের সময় অমিত শাহ ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় এই রাজ্যের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশকারীদের “আশ্রয়” দেওয়ার অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, আপনি অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দিয়েছেন। আপনি অনুপ্রবেশকারীদের আপনার ভোটব্যাংক বানিয়েছেন। আজ আমি ঝাড়খণ্ডের জনগণকে জানাতে চাই, তুষ্টির রাজনীতির অবসান ঘটিয়ে বিজেপি অনুপ্রবেশকারীদের তাড়িয়ে দেবে এবং ঝাড়খণ্ডকে প্রথম থেকে পুনর্গঠন করবে।

এর আগে, ঝাড়খণ্ডে অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিদের উল্টো করে ঝুলিয়ে সোজা করা হবে বলে গত সেপ্টেম্বরে হুমকি দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। একইসঙ্গে তিনি রাজ্যের সাঁওতাল পরগনায় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের জমি দখল করার বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের “নীরবতা” নিয়েও সেসময় প্রশ্ন তোলেন।

উল্লেখ্য, চলতি নভেম্বর মাসেই ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে জোরকদমে কাজ করছে বিজেপি। ওই রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠনের ডাক দিয়েছেন অমিত শাহ। মূলত এই নির্বাচনকে সামনে রেখেই বিজেপির প্রচারণার অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠেছে অনুপ্রবেশ সমস্যা। আগামী ১৩ এবং ২০ নভেম্বর ঝাড়খণ্ডের ৮১টি আসনে দু’দফায় বিধানসভা ভোট হবে। ভোটের ফলাফল জানা যাবে ২৩ নভেম্বর।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৩:১৯:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪
৫০৫ বার পড়া হয়েছে

শেখ হাসিনাকে আশ্রয় কেন, প্রশ্ন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর

আপডেট সময় ০৩:১৯:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সমালোচনা করেছেন ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। বাংলাদেশ ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ এনে সোরেন প্রশ্ন তুলেছেন, কিসের ভিত্তিতে শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দিয়েছে মোদি সরকার? খবর এনডিটিভির

রোববার (৩ নভেম্বর) রাতে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঝাড়খণ্ডে আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজেপির ইশতেহার প্রকাশ এবং “অনুপ্রবেশ” সম্পর্কে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিতর্কিত মন্তব্যের জবাবে রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। সোরেন উল্লেখ করেছেন, বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ ঘটে। একইসঙ্গে তিনি এই প্রশ্নও তুলেছেন যে, কেন্দ্রীয় সরকার কিসের ভিত্তিতে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দিয়েছে মোদি সরকার।

রোববার গাড়োয়া বিধানসভা আসনের রাঙ্কায় একটি নির্বাচনী সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন বলেন, আমি জানতে চাই, বাংলাদেশের সাথে বিজেপির কোনও ধরনের অভ্যন্তরীণ কোনও বোঝাপড়া আছে কিনা।

তিনি বলেন, দয়া করে আমাদের বলুন— কিসের ভিত্তিতে আপনি বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ভারতে অবতরণ করতে এবং আশ্রয় চাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন। বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীরা বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোর মাধ্যমেই ভারতে প্রবেশ করে। তারা নিজেরাই বলছে।

এর আগে, রোববার বিজেপির ইশতেহার প্রকাশের সময় অমিত শাহ ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় এই রাজ্যের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশকারীদের “আশ্রয়” দেওয়ার অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, আপনি অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দিয়েছেন। আপনি অনুপ্রবেশকারীদের আপনার ভোটব্যাংক বানিয়েছেন। আজ আমি ঝাড়খণ্ডের জনগণকে জানাতে চাই, তুষ্টির রাজনীতির অবসান ঘটিয়ে বিজেপি অনুপ্রবেশকারীদের তাড়িয়ে দেবে এবং ঝাড়খণ্ডকে প্রথম থেকে পুনর্গঠন করবে।

এর আগে, ঝাড়খণ্ডে অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিদের উল্টো করে ঝুলিয়ে সোজা করা হবে বলে গত সেপ্টেম্বরে হুমকি দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। একইসঙ্গে তিনি রাজ্যের সাঁওতাল পরগনায় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের জমি দখল করার বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের “নীরবতা” নিয়েও সেসময় প্রশ্ন তোলেন।

উল্লেখ্য, চলতি নভেম্বর মাসেই ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে জোরকদমে কাজ করছে বিজেপি। ওই রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠনের ডাক দিয়েছেন অমিত শাহ। মূলত এই নির্বাচনকে সামনে রেখেই বিজেপির প্রচারণার অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠেছে অনুপ্রবেশ সমস্যা। আগামী ১৩ এবং ২০ নভেম্বর ঝাড়খণ্ডের ৮১টি আসনে দু’দফায় বিধানসভা ভোট হবে। ভোটের ফলাফল জানা যাবে ২৩ নভেম্বর।