ক্ষেতলালে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ছাদ থেকে ফেলে দিল চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার বড়াইল ইউনিয়নের বিনাই গ্রামে চতুর্থ শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে দু’ তলার ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে গুরুতর আহত করেছেন এক ব্যক্তির। স্থানীয়রা দ্রুত আহত শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ঘটনাটি ঘটেছে ৯ এপ্রিল (বুধবার) সকাল সাড়ে ১১ টায়, যখন অভিযুক্ত আব্দুল কুদ্দুস (৬০), জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার আতাহার বামন গ্রামের জাকির এর ছেলে, ওই শিক্ষার্থী শাবনুরকে একটি নির্মাণাধীন বাড়িতে নিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও থানার সূত্রে জানা যায়, কুদ্দুস এক বছর ধরে ওই এলাকায় কৃষি দিনমজুর হিসেবে কাজ করছিল। সে যখন শিশুটিকে একা পায়, তখন তাকে মুখ চেপে ধরে ঘরেও নিয়ে যায়। এ সময় প্রতিবেশী আব্দুল গনির স্ত্রী বিষয়টি দেখে প্রতিবেশীদের ডেকে আনেন এবং ৯৯৯ এ ফোন করেন। লোকজন এসে দরজায় লাথি মারলে, কুদ্দুস শিশুটিকে ছাদ থেকে ফেলে দেয়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত কুদ্দুসকে আটক করতে সক্ষম হয়। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তিনি ছাদ থেকে লাফ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাকে হাতে-নাতে আটক করে।
বাড়ির মালিক কাবিল হোসেন বলেন, “আমি প্রবাসে থাকি এবং আমার স্ত্রী বাড়িটির দেখাশোনা করছেন। বাড়িটি এখনো নির্মাণাধীন, এবং আমার স্ত্রী আমাকে জানিয়ে দিয়েছেন যে এই অপরাধী একজন দিনমজুর। আমি তার সর্বোচ্চ শাস্তি, এমনকি ফাঁসি দাবি করছি।”
ক্ষেতলাল থানার অফিসার ইনচার্জ বীরেন্দ্র সিং জানান, ৯৯৯ ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আসামিকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।