মোংলা বন্দরের উন্নয়নে ৪ হাজার কোটি টাকার কাজ পেল চীনের প্রতিষ্ঠান
মোংলা বন্দরের সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের কাজ পেয়েছে চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি)। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় কমিটির সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “মোংলা বন্দরের সুবিধাদির সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন” প্রকল্পের আওতায় “জি-টু-জি” ভিত্তিতে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) কার্য ও পণ্য ক্রয়ের বিষয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয়েছে। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৪৬ কোটি ৪৮ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি)। “মোংলা বন্দরের সুবিধাদির সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন” প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৬৮ কোটি ২২ লাখ ৭২ হাজার টাকা। এর মধ্যে চীনা সরকারের প্রকল্প ঋণ ৩ হাজার ৫৯২ কোটি ৮৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, আর সরকারি অর্থায়ন ৪৭৫ কোটি ৩২ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।
প্রকল্পটি ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাস্তবায়নের জন্য গত ২ ফেব্রুয়ারি একনেক সভায় অনুমোদিত হয়।
এছাড়া, সভায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান মেসার্স এক্সেলারেট এনার্জি এলপি থেকে এক কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে প্রায় ৬৬৪ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ধরা হয়েছে ১৪ দশমিক ৩০ মার্কিন ডলার।
২০২৩ সালে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক্সেলারেট এনার্জির সঙ্গে ১৫ বছরের জন্য এলএনজি ক্রয় চুক্তি স্বাক্ষর করে। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটি থেকে প্রতি বছর ১০ লাখ টন এলএনজি কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।