খুলনায় প্রেমিকের সাথে দেখা করতে এসে লাশ হলেন শিক্ষার্থী তাজকীর
খুলনায় প্রেমিকের সাথে দেখা করতে এসে প্রাণ হারালেন ঢাকার শিক্ষার্থী তাজকীর আহমেদ। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নগরীর খানজাহান আলী থানার গিলাতলা বালুর ঘাট এলাকায় ভৈরব নদী থেকে তার বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিখোঁজ থাকার সাত দিন পর তার মরদেহ উদ্ধার হলো।
খালিশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, তাজকীর আহমেদ রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। গত ২১ ফেব্রুয়ারি তিনি ধানমন্ডির বাসা থেকে খুলনার গোয়ালখালী এলাকায় মামার বাড়িতে আসেন। সেখান থেকে খালিশপুরে প্রেমিকা সীমার সঙ্গে দেখা করতে বের হন এবং এরপর থেকে নিখোঁজ ছিলেন।
তাজকীরের বাবা মুরাদ হোসেন ২২ ফেব্রুয়ারি খালিশপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে ২৫ ফেব্রুয়ারি তিনি সাতজনকে আসামি করে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় তাজকীরের প্রেমিকা সীমাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সীমার দাবি, তার মোবাইল ব্যবহার করে তার সাবেক স্বামী অভি তাজকীরকে ডেকে আনে। ঘটনার পর থেকে অভি পলাতক রয়েছে, তাকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
২৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় খানজাহান আলী থানার গিলাতলা বালুর ঘাট এলাকায় স্থানীয়রা ভৈরব নদীর তীরে একটি বস্তাবন্দি লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়। পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে, পরে নিহতের স্বজনরা সেটি তাজকীরের বলে শনাক্ত করেন।
খানজাহান আলী থানার ওসি কবীর হোসেন জানান, মরদেহ কয়েকদিনের পুরনো হওয়ায় কীভাবে হত্যা করা হয়েছে তা প্রাথমিকভাবে বোঝা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এবং পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।