দেওয়ানগঞ্জে ডাম্পিং স্টেশন নির্মান কাজের ঠিকাদার উধাও
দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হয়েছে গত দেড় বছর আগেই। এদিকে কাজ বন্ধ গত ছয় মাস ধরে। কবে নাগাদ আবারো নির্মাণ কাজ শুরু হবে এবং শেষ হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কেউ জানেননা ।
দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার তথ্য অনুসারে, নির্মাণাধীন ডাম্পিং স্টেশনটি ‘নর্দান বাংলাদেশ ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (নবিদেপ)’ এর একটি প্রকল্প। যার দাতা সংস্থা ‘জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (জাইকা)’ । উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসের আওতায় ডাম্পিং স্টেশনটি নির্মাণ হচ্ছে । যার নির্মাণ ব্যায় ৭ কোটি ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৯ টাকা । ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান র্টান কন্সট্রাকশন । মালিক নাহিদ আল হাসান । কিন্তু সাব ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছে মির্জা শিপন ।
২০২২ সালের জুন মাসে ডাম্পিং স্টেশনটির নির্মান কাজ শুরু হয় । প্রকল্পটির নির্মাণ মেয়াদ ৩৬০ দিন ছিলো । নির্ধারিত সময় পেরিয়ে অতিরিক্ত দেড় বছরের অধিক সময় ব্যয় করেছে ঠিকাদার । এর মধ্যে আবার গত ৫ই আগষ্ট হতে ছয় মাসের অধিক সময় ধরে নির্মাণ কাজ বন্ধ । পৌরসভা কর্তৃপক্ষ আরো জানায়, দ্রুত কাজ সম্পন্ন করার জন্য ঠিকাদার ও উপজেলা জনস্বাস্থ্য অফিসে বারবার তাগিদ দিলেও মেলেনি কোন সমাধান ।
ডাম্পিং স্টেশন সরেজমিনে পরিদর্শনকালে প্রকল্পটির নৈশ প্রহরী নুরু জানায় আমার নিজস্ব মিটারের বিদ্যুৎ বিল সহ ছয় মাসের বেতন বাবাদ দেড় লক্ষ টাকা বাকি রেখে ঠিকাদার উধাও মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি।অনেক কষ্টে জীবন পার করছি।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য অফিসের সহকারী প্রকৌশলী মো. মাজেদুর রহমান বলেন, ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ প্রকল্পে ঠিকাদার অতিরিক্ত সময় নিচ্ছে । এখনও প্রকল্পটির সিভিল কাজের ৩০ শতাংশ বাকি এবং মেকানিক্যাল শতভাগই বাকি । ঠিকাদার আওয়ামীলীগ নেতা হওয়াই গত ৫ই আগষ্ট হতে লাপাত্তা । এখন পর্যন্ত কাজ বন্ধ । ঠিকাদারের সাথে যোগাযোগ করতে পারছিনা । তবে খুব দ্রুত ঠিকাদারকে চিঠি ইস্যু করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে ।
উল্লেখ্য ডাম্পিং স্টেশনের নির্মান কাজ বন্ধ থাকায় নির্মাণ সামগ্রীগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।