ব্রহ্মপুত্রের এক ইঞ্চি জায়গা যেন আর দখল না হয়
আবার ব্রহ্মপুত্র দখল ও ভরাটের উদ্যোগ। খবর পেয়ে ডিসি মহোদয় ও এসপি মহোদয়কে জানানোর পর ঘটনাস্থলে পুলিশ, ম্যাজিস্টেট গিয়ে হাজির। ভরাট এবং নদের পাড়ে পাকা ঘর তোলার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়। ২০১৯ সাল থেকে ব্রহ্মপুত্র বাঁচাতে আন্দোলন করে যাচ্ছি। রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহারে আমার মতো চুনিপুটিদের প্রতিবাদ শুধু শুন্যাকাশে ভেসে বেড়ায়। অপমানিত হই তারপরও নির্ভয়ে ছুটে যাই দখলবাজদের হাত থেকে ব্রহ্মপুত্র রক্ষায়।
তীল তীল করে ব্রহ্মপুত্র মেরে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ১৯৯৬ সাল থেকে। মরে যাওয়া নদ ভরাট করে অবশেষে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গড় উঠলো। সরকার পরিবর্তন হলো। ভাবলাম এবার বুঝি দখলদার উচ্ছেদ হবে। এ দাবিতে ৫ আগস্টের পর একাধিকবার মানববন্ধন করলাম। স্মারকলিপি দিলাম। এতে ভয়ংকর শত্রুতে পরিণত হলাম। অন্যপক্ষ ফয়দা লুটলো। অতীতের ধারাবাহিকতায় পরিবর্তিত বাংলাদেশে আবার জামালপুর নদী দখলের পায়তারা শুরু হলো। নির্লজ্জের মতো আবার দখলবন্ধে ছুটে গেলাম।
প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে সাময়িকভাবে বন্ধ হলো ঠিকই, কিন্তু শুনছি আবারো পুনর্দখল হবে। এর স্থায়ী সমাধান করতে হলে ওয়ান ইলেভেনের মতো সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হবে। সরকারিভাবে দখল নিয়ে সীমানা প্রাচীর করতে হবে। দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত পদক্ষেপ নিতে হবে। আসুন ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়াজ তুলি, ‘নদী বাঁচাও, দেশ বাঁচাও’।