সংস্কার কোনো ধর্মীয় গ্রন্থ নয় – গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
সংস্কার কোনো ধর্মীয় গ্রন্থ বা আল্লাহ প্রদত্ত কোরআন নয়, বাইবেল নয় এবং হিন্দুদের বেদও নয়। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, যা সময়ের প্রয়োজনে করতে হয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
শনিবার (৮ জানুয়ারি, ২০২৫) সন্ধ্যায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চুনকোটিয়া গার্লস স্কুল মাঠে বিএনপি’র সদস্য পদ নবায়ন কর্মসূচির প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘সংস্কার নিয়ে এখন নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। প্রশাসনের মধ্যে ষড়যন্ত্র রয়েছে, দলের মধ্যেও রয়েছে, এমনকি দেশের বাইরেও ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। কিছু ষড়যন্ত্র দৃশ্যমান এবং কিছু অদৃশ্য। বিএনপি যাতে ক্ষমতায় আসতে না পারে, সেজন্য একটি দল সংস্কারের দোহাই দিয়ে নির্বাচন বিলম্বিত করার ষড়যন্ত্র করছে।’
অতীত প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘শেখ মুজিব ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে বাকশাল গঠন করেছিলেন। কিন্তু বাকশাল কী জিনিস, সেটি তার দলের কর্মীরাও বুঝতো না। তাই তিনি জীবন দিয়ে এর খেসারত দিয়েছেন। এখন থেকে শেখ মুজিবের দুইবার মৃত্যু দিবস পালন করতে হবে—একবার ১৫ আগস্ট, আরেকবার ৫ আগস্ট। শেখ হাসিনা উন্নয়নের দোহাই দিয়ে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিলেন, এজন্য তিনি দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভোটের মালিক জনগণ, দেশের মালিকও জনগণ। বিএনপি নেতাকর্মীদের এমন কোনো কাজ করা যাবে না, যাতে ভোটের বাজারে বা ব্যালট বাক্সে আগুন লাগে। আগে দেশ, পরে দল, তারপর ব্যক্তি। যার যার ভোট তার হাতে। এখন স্বামীর কথায় স্ত্রী ভোট দেয় না, আবার স্ত্রীর কথায় স্বামীও ভোট দেয় না। সম্প্রতি দেশে যা ঘটছে, তা ভোট বন্ধের কোনো ষড়যন্ত্র কি না, তা নিয়ে ভাবতে হবে।’
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় দলীয় কর্মীদের গুজবে কান না দেওয়ার, অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার এবং সংযত আচরণ বজায় রাখার আহ্বান জানান।
ঢাকা জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা ওমর শাহনেওয়াজ, অ্যাডভোকেট সেলিম চৌধুরী, জয়নাল আবেদীন বাবুল, মোকারম হোসেন সাজ্জাদ ও মাহবুবুর রহমান মামুন, শ্রমিকদল নেতা মোহাম্মদ শাহিন, আসাদুর রহমান সোহেল প্রমুখ।