সুনামগঞ্জে ফিল্মি স্টাইলে দুর্ধর্ষ ডাকাতি!
সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলায় ফিল্মি স্টাইলে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। ভোর রাতে প্রহরীকে তার পড়নের লুঙ্গি দিয়ে হাত, মুখ ও চোখ বেঁধে ডাকাতি করেছে ডাকাত দল। এ সময় পৃথক পৃথক এলাকা থেকে চারটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও একটি মুদির দোকানে ডাকাতি করা হয়েছে।
শান্তিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগাঁও পয়েন্ট থেকে তিনটি ও বীরগাঁও এলাকা থেকে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা নিয়ে যায় ডাকাতেরা। মুদির দোকানটিও একই পয়েন্টে ছিল। শুক্রবার ভোর রাত ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে এই ঘটনা ঘটে। এতে ভয়-আতঙ্কে রয়েছে এলাকার ব্যবসায়ী-পরিবহণ শ্রমিক ও জনসাধারণ।
সিএনজি অটোরিকশার মালিকেরা হলেন- পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের মৃত আলীম উদ্দিনের ছেলে ফরিদ আহমদ (গাড়ি নং- সুনামগঞ্জ থ ১১-৩৯০২), একই গ্রামের হানিফ উল্লাহর ছেলে আবদুল খালিক (গাড়ি নং- সুনামগঞ্জ থ ১১-৩১৮৮), চন্দপুর গ্রামের আবদুল গফুরের ছেলে রুহুল আমীনের গাড়ি চালাতেন শিপন আহমদ (গাড়ি নং- সুনামগঞ্জ থ ১১-৪৪২)। পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়ন থেকেও একটি সিএনজি (সুনামগঞ্জ থ ১১-১৪৮২) নিয়ে যায় ডাকাতেরা। মুদির দোকানের মালিক ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের আল আমীন।
পশ্চিমপাড়া ব্রাহ্মণগাঁও পয়েন্টের নৈশ প্রহরী ষাটোর্ধ্ব আফতর আলী জানান, রাত আনুমানিক ৪টার দিকে দায়িত্বে থাকা অবস্থায় মোবাইল ফোনে ওয়াজ শুনছিলেন। হঠাৎ চারজন যুবক এসে তাকে আক্রমণ করে গলায় ছুরি ধরে। চিৎকার করতে নিষেধ করে তারা তাকে লুঙ্গি দিয়ে বেঁধে ট্রাকের নিচে ফেলে রাখে। প্রায় দুই ঘণ্টা পর তিনি মুক্ত হন।
সিএনজি হারিয়ে পাগলপ্রায় ফরিদ আহমদের বিধবা মা দয়া বেগম বলেন, কিস্তির মাধ্যমে কেনা সিএনজি হারিয়ে সংসার চালাতে বিপাকে পড়েছেন তিনি। একইভাবে আবদুল খালিকের বৃদ্ধ বাবা হানিফ উল্লাহও প্রশাসনের কাছে সাহায্যের দাবি জানিয়েছেন।
পশ্চিম পাগলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জগলুল হায়দার বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের শান্তনা দেওয়া হয়েছে এবং প্রশাসনের কাছে অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার ও গাড়িগুলো উদ্ধারের দাবি জানানো হয়েছে।
শান্তিগঞ্জ থানার ওসি আকরাম আলী জানান, এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি তবে পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।