দৌলতপুর বাজার বনিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন স্থগিত
খুলনার ঐতিহ্যবাহী দৌলতপুর বাজার বনিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন অনিবার্য কারণে স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আজ ৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ভোটার তালিকায় জটিলতা এবং স্মার্ট আইডি কার্ড সংক্রান্ত সমস্যার কারণে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ভোট গ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করে।
ভোটার তালিকায় প্রায় ৩০০ জনের স্মার্ট আইডি কার্ড না আসা এবং একজন ভোটারের একাধিক নাম থাকার অভিযোগ ওঠে। এসব কারণে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয় এবং তারা বিক্ষোভ শুরু করেন। দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে ভোট গ্রহণ স্থগিত করার ঘোষণা দেয়।
ভোট গ্রহণ সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলার কথা থাকলেও দেরিতে শুরু হওয়া, ভোটার তালিকায় বিভ্রান্তি এবং ভোট কারচুপির আশঙ্কায় ভোটাররা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। নির্বাচন স্থগিতের পর দৌলতপুর বাজার ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ মিছিল করে এবং নির্বাচন পরিচালনা কমিটিকে অযোগ্য দাবি করে কার্যালয় ঘেরাও করে। একপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এ বিষয়ে দৌলতপুর বাজার বনিক সমিতির একাধিক সাধারণ ভোটারের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির অব্যবস্থাপনার কারণেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তারা নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে ভোট গ্রহণের দাবি জানান।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান শেখ মোশাররফ হোসেন জানান, স্মার্ট আইডি কার্ড তৈরির দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার কম্পিউটার বিভ্রাটের কারণে প্রায় ৪৬৫ জন ভোটারের আইডি কার্ড সময়মতো হাতে আসেনি। তিনি জানান, পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ১০ ফেব্রুয়ারি সম্ভাব্য নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রার্থী ও ভোটারদের সঙ্গে আলোচনার পর জানানো হবে।
প্রসঙ্গত, শত বছরের পুরাতন দৌলতপুর বাজার বনিক সমিতির এই ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনে ১৭টি পদের বিপরীতে ৪০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ভোটার সংখ্যা ২,৫১৫ জন। প্রতি তিন বছর পর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোটার ও প্রার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দাবি উঠেছে।