১৭ পদে ৪০ প্রার্থী, ৩ ফেব্রুয়ারি দৌলতপুর বাজার কমিটির নির্বাচন
শত বছরের ঐতিহ্যবাহী দৌলতপুর বাজার বণিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন আগামীকাল, ৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দীর্ঘ তিন বছর পর অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাজারজুড়ে বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ।
বাজার ও আশপাশের এলাকা রঙিন ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টারে ছেয়ে গেছে। দৌলতপুর বিএল কলেজের সামনে থেকে থানার মোড়, খুলনা-যশোর মহাসড়কের দৌলতপুর ওভারব্রিজ থেকে মুহসিন মোড় পর্যন্ত জায়গাজুড়ে প্রার্থীদের প্রচার সামগ্রী শোভা পাচ্ছে। বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে মাইকিং, লিফলেট বিতরণ ও সরাসরি ভোটারদের দ্বারে দ্বারে প্রচারণা।
নির্বাচনের বাকি মাত্র এক দিন থাকায় প্রার্থীরা শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। তারা ব্যবসায়ীদের দোকানে, বাড়িতে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন এবং নির্বাচিত হলে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। বর্তমান কমিটির নেতারা উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন, অন্যদিকে নতুন প্রার্থীরাও বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা সামনে এনে ভোট চাইছেন।
এবারের নির্বাচনে ১৭টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৪০ জন প্রার্থী। সভাপতি, সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহ-সাধারণ সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষসহ সম্পাদক পদে ১০ জন এবং সদস্য পদে ৭ জন নির্বাচিত হবেন।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সূত্রে জানা গেছে, ভোট গ্রহণ ৩ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮:৩০ থেকে বিকাল ৪:৩০ পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলবে। বাজারের মাছ পট্টিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবারের নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ২,৫১৫ জন।
সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান সভাপতি শেখ কামাল হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব শেখ আসলাম এবং আরও এক প্রার্থী। সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মো. নান্নু মোড়ল, এম. এম. জসিম ও আসাদ বন্দ।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান শেখ মোশাররফ হোসেন বলেন, দৌলতপুর বাজার খুলনা জেলার একটি ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্যকেন্দ্র। আমরা একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিতে কাজ করছি। আশা করছি, বাজারের ব্যবসায়ীদের জন্য একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে।
বাজারের ব্যবসায়ীরা চান নির্বাচিত নেতারা শুধু ভোটের সময়ই নয়, পরবর্তী তিন বছরও তাদের পাশে থাকবেন। মুদি ব্যবসায়ী আফজাল হোসেন বলেন, “নির্বাচনের আগে প্রার্থীরা আন্তরিকভাবে আমাদের কাছে আসছেন, আমরা খুশি। কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার পরেও যেন তারা আমাদের খবর নেন।
ওষুধ ব্যবসায়ী শরাফত হোসেন বলেন, নেতৃত্বে আসবেন তারা যেন চাঁদাবাজ মুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করেন, বাজারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন এবং ব্যবসায়ী সমাজের কল্যাণে কাজ করেন। আমরা চাই, সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব।