ঢাকা ০৮:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাগেরহাটের রামপালে আড়াই মাসেও একশত গ্রাম ধান সংগ্রহ করতে পারেনি খাদ্য দপ্তর

হারুন শেখ, বাগেরহাট প্রতিনিধি::

বাগেরহাটের রামপালে বাইরে ধানের বাজার মূল্য বেশী হওয়ায় সরকার নির্ধারিত মূল্যে একশ গ্রাম ধানও সংগ্রহ করতে খাদ্য অধিদপ্তর। এতে সরকারের বেধে দেয়া ৫০৫ টন আমন ধান সংগ্রহের লক্ষমাত্রা গত আড়াই মাসেও পূরণ করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট দপ্তর। এতে সরকারের খাদ্য শস্য সংগ্রহের সংকট বাড়বে বলে সচেতনমহল মনে করেন।

রামপাল উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের খাদ্য পরিদর্শক মো. সাইদুল ইসলামের সাথে কথা বলে জানা গেছে, চলতি ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে সরকারিভাবে আমন ধান সংগ্রহের লক্ষমাত্রা ধরা হয় ৫০৫ টন। গতবছরের ৯ ডিসেম্বর আমন ধান সংগ্রহের উদ্বোধন করা হয়। সরকারিভাবে প্রতি কেজি ধান ৩৩ টাকা করে দর বেঁধে দেয়া হয়। তাতে প্রতি মনের দাম পড়ে ১ হাজার ৩২০ টাকা। কিন্তু খোলা বাজারে ও আড়ৎগুলোতে ধান বিক্রি হচ্ছে প্রতি মন ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ১ হাজর ৬০০ টাকায়। যে কারণে গত আড়াই মাসে এক গ্রাম ধানও ক্রয় করতে পারেনি খাদ্য অধিদপ্তর।

কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এবছর আমনের চাষ তুলনামূলকভাবে বেশী হলেও বাইরে ধানের দাম বেশী হওয়ায় কৃষকেরা ধান সরবরাহ করতে উৎসাহীত হননি।

এ ছাড়াও ধান ক্রয়ে আদ্রতার মাত্রাসহ বিভিন্ন শর্ত থাকায় কৃষকরা গুদাম মুখি হননি। সরকারের বেঁধে দেয়া দারের বাইরে কৃষকেরা ধান বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন। তারা জানান, সরকার ৩৩ টাকা দরের পরিবর্তে অঞ্চলভিত্তিক দর বেঁধে দিলে কৃষকেরা লাভবান হবেন।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৭:১৮:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫
৫৬৪ বার পড়া হয়েছে

বাগেরহাটের রামপালে আড়াই মাসেও একশত গ্রাম ধান সংগ্রহ করতে পারেনি খাদ্য দপ্তর

আপডেট সময় ০৭:১৮:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

বাগেরহাটের রামপালে বাইরে ধানের বাজার মূল্য বেশী হওয়ায় সরকার নির্ধারিত মূল্যে একশ গ্রাম ধানও সংগ্রহ করতে খাদ্য অধিদপ্তর। এতে সরকারের বেধে দেয়া ৫০৫ টন আমন ধান সংগ্রহের লক্ষমাত্রা গত আড়াই মাসেও পূরণ করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট দপ্তর। এতে সরকারের খাদ্য শস্য সংগ্রহের সংকট বাড়বে বলে সচেতনমহল মনে করেন।

রামপাল উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের খাদ্য পরিদর্শক মো. সাইদুল ইসলামের সাথে কথা বলে জানা গেছে, চলতি ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে সরকারিভাবে আমন ধান সংগ্রহের লক্ষমাত্রা ধরা হয় ৫০৫ টন। গতবছরের ৯ ডিসেম্বর আমন ধান সংগ্রহের উদ্বোধন করা হয়। সরকারিভাবে প্রতি কেজি ধান ৩৩ টাকা করে দর বেঁধে দেয়া হয়। তাতে প্রতি মনের দাম পড়ে ১ হাজার ৩২০ টাকা। কিন্তু খোলা বাজারে ও আড়ৎগুলোতে ধান বিক্রি হচ্ছে প্রতি মন ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ১ হাজর ৬০০ টাকায়। যে কারণে গত আড়াই মাসে এক গ্রাম ধানও ক্রয় করতে পারেনি খাদ্য অধিদপ্তর।

কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এবছর আমনের চাষ তুলনামূলকভাবে বেশী হলেও বাইরে ধানের দাম বেশী হওয়ায় কৃষকেরা ধান সরবরাহ করতে উৎসাহীত হননি।

এ ছাড়াও ধান ক্রয়ে আদ্রতার মাত্রাসহ বিভিন্ন শর্ত থাকায় কৃষকরা গুদাম মুখি হননি। সরকারের বেঁধে দেয়া দারের বাইরে কৃষকেরা ধান বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন। তারা জানান, সরকার ৩৩ টাকা দরের পরিবর্তে অঞ্চলভিত্তিক দর বেঁধে দিলে কৃষকেরা লাভবান হবেন।