জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আজ দুপুরে এই কূপ খনন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, “নতুন কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে, এবং এই গ্যাস উত্তোলন করা যাবে ২৫ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত।”
বাপেক্স সূত্রে জানা গেছে, জামালপুর-১ অনুসন্ধান কূপ খনন প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এই কূপটি খনন করা হচ্ছে। ২২০ জন প্রকৌশলী ও শ্রমিক এই প্রকল্পের সাথে যুক্ত রয়েছেন। কূপ খনন কাজ চলবে ৯০ দিন পর্যন্ত।
অনুষ্ঠানে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান মো: রেজানুর রহমান, বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: শোয়েব, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আফসানা তাসলিমা এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাপেক্স কর্মকর্তারা জানান, এই স্থানটি একাধিকবার অনুসন্ধান করা হয়েছে, এবং গ্যাসের মজুদ নিশ্চিত করা হয়েছে। এই গ্যাস সরিষাবাড়ী যমুনা ফার্টিলাইজার কারখানা এবং জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা হবে।
জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, “গ্যাসের সংকট কমাতে আগামী দু’বছরে সারা দেশে ১০০টি নতুন গ্যাস কূপ খনন করা হবে, এবং পুরোনো ৩১টি কূপ সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, গ্যাসের মজুদের জায়গা স্বল্পতার কারণে বর্তমানে বৃহৎ আকারে গ্যাস আমদানি সম্ভব হচ্ছে না, তবে আগামী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে আবাসিক ক্ষেত্রে নতুন গ্যাস সংযোগ দেয়া সম্ভব হবে না।