ঢাকা ০৩:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন

সিরাজগন্জ, প্রতিনিধি::
সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী উপজেলায় যমুনা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন দিন দিন মারাত্মক সমস্যা হয়ে উঠছে। বিশেষ করে এনায়েতপুর থানা এবং শাহজাদপুর উপজেলার কয়েকটি গ্রামে যমুনার তীর রক্ষা বাঁধ প্রকল্প চলমান থাকা সত্ত্বেও স্থানীয় প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে, যা প্রকল্পের কার্যকারিতা এবং পরিবেশগত ভারসাম্যকে হুমকির মুখে ফেলছে।

যমুনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের জন্য ৬৪৭ কোটি টাকার কাজ এনায়েতপুর থেকে পাঁচিল পর্যন্ত চলছে। এই প্রকল্পটি নদীভাঙন থেকে চৌহালী ও আশপাশের এলাকা রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তবে অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে নদীর প্রাকৃতিক গতি পরিবর্তিত হচ্ছে, যা বাঁধের স্থায়িত্ব ও কার্যকারিতাকে হুমকির মুখে ফেলছে।

স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি হাসমত শেখ প্রশাসনের নজরদারির অভাব এবং দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে নিয়মবহির্ভূতভাবে বালু উত্তোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। উত্তোলিত বালু দিয়ে জমি ভরাট করা হচ্ছে, যা পরিবেশগত ভারসাম্যহীনতা তৈরি করছে।

এলাকার জনগণ জানিয়েছেন, অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে তীর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের সুফল পাওয়া নিয়ে তারা সন্দিহান। তারা আরও অভিযোগ করেন যে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার ফলে এই সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে।

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের দ্রুত এবং কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। এছাড়া প্রভাবশালী হাসমত শেখের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া এবং স্থানীয় জনগণকে সচেতন করার ওপর জোর দিতে হবে।

এ ছাড়া, বিকল্প নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার ও বালুর চাহিদা কমানোর কৌশল বাস্তবায়নের মাধ্যমে এই সমস্যা মোকাবিলা করা যেতে পারে। যমুনা নদী শুধুমাত্র একটি প্রাকৃতিক সম্পদ নয়; এটি স্থানীয় জনজীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে এর পরিবেশগত ও অর্থনৈতিক ক্ষতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৭:২২:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫
৫৩৮ বার পড়া হয়েছে

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন

আপডেট সময় ০৭:২২:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫
সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী উপজেলায় যমুনা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন দিন দিন মারাত্মক সমস্যা হয়ে উঠছে। বিশেষ করে এনায়েতপুর থানা এবং শাহজাদপুর উপজেলার কয়েকটি গ্রামে যমুনার তীর রক্ষা বাঁধ প্রকল্প চলমান থাকা সত্ত্বেও স্থানীয় প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে, যা প্রকল্পের কার্যকারিতা এবং পরিবেশগত ভারসাম্যকে হুমকির মুখে ফেলছে।

যমুনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের জন্য ৬৪৭ কোটি টাকার কাজ এনায়েতপুর থেকে পাঁচিল পর্যন্ত চলছে। এই প্রকল্পটি নদীভাঙন থেকে চৌহালী ও আশপাশের এলাকা রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তবে অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে নদীর প্রাকৃতিক গতি পরিবর্তিত হচ্ছে, যা বাঁধের স্থায়িত্ব ও কার্যকারিতাকে হুমকির মুখে ফেলছে।

স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি হাসমত শেখ প্রশাসনের নজরদারির অভাব এবং দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে নিয়মবহির্ভূতভাবে বালু উত্তোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। উত্তোলিত বালু দিয়ে জমি ভরাট করা হচ্ছে, যা পরিবেশগত ভারসাম্যহীনতা তৈরি করছে।

এলাকার জনগণ জানিয়েছেন, অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে তীর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের সুফল পাওয়া নিয়ে তারা সন্দিহান। তারা আরও অভিযোগ করেন যে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার ফলে এই সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে।

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের দ্রুত এবং কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। এছাড়া প্রভাবশালী হাসমত শেখের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া এবং স্থানীয় জনগণকে সচেতন করার ওপর জোর দিতে হবে।

এ ছাড়া, বিকল্প নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার ও বালুর চাহিদা কমানোর কৌশল বাস্তবায়নের মাধ্যমে এই সমস্যা মোকাবিলা করা যেতে পারে। যমুনা নদী শুধুমাত্র একটি প্রাকৃতিক সম্পদ নয়; এটি স্থানীয় জনজীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে এর পরিবেশগত ও অর্থনৈতিক ক্ষতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।