মীর মোকসেদ আলী বলেন, আজ বিকাল সাড়ে ৪টায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিসি নর্থ) সাথে আমাদের ৪টি সংগঠনের আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। তবে সেখানে ৩টি সংগঠনের শ্রমিক ও মালিকপক্ষ উপস্থিত ছিলেন। তারা কর্মবিরতি প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন এবং আলী আজিমের জামিনের বিষয়ে ঢাকার উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দেন। কিন্তু আমরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি, আমাদের নেতা আলী আজিম জামিনে মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি প্রত্যাহার হবে না।
মীর মোকসেদ আরও জানান, “আগামীকাল সারা দেশে এক বেলা ধর্মঘট পালিত হবে। এর পরও দাবি পূরণ না হলে সারাদেশে লাগাতার কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হবে। আগামীকাল সকালে শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সাথে আরও একটি বৈঠক হবে।”
তিনি অভিযোগ করেন, “একটি মহল তেল সেক্টরে অরাজকতা তৈরির ষড়যন্ত্র করছে। এর অংশ হিসেবেই আলী আজিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ছাড়া অনেক শ্রমিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা রয়েছে, যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।”
গত ২৬ জানুয়ারি ট্যাংকলরী শ্রমিক নেতা আলী আজিমের গ্রেফতারের প্রতিবাদে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা তেল ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ করে শ্রমিকরা কর্মবিরতিতে যান। ফলে খুলনাসহ ১৫টি জেলায় তেল সরবরাহ বন্ধ হয়ে তেল সংকট দেখা দিয়েছে। অনেক পেট্রোল পাম্পে জ্বালানি ফুরিয়ে গেছে।
গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়নের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. মোশাররফ হোসেন। এছাড়া সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. আলামিন, অর্থ সম্পাদক ইমদাদুল হক, মিজানুর রহমান মিজুসহ অন্যান্য শ্রমিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে, দ্বিতীয় দিনের মতো খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরী শ্রমিকরা ইউনিয়ন কার্যালয়ের সামনে তাদের নেতার মুক্তির দাবিতে শ্লোগান দিতে থাকেন।