জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় ডাকাত ধরতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে ডাকাতদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশের কনস্টেবল মিজানুর রহমান গুলিতে আহত হয়েছেন। পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে, যাদের মধ্যে দুই নারীও রয়েছেন। এই ঘটনায় ডাকাতদের কাছ থেকে অস্ত্র, নগদ টাকা, দুটি বটি, দুটি মোটরসাইকেল এবং অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাতে গোপন তথ্য পেয়ে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ, ক্ষেতলাল ও কালাই থানা পুলিশ মিলে অভিযান চালায়। পুলিশ জানায়, খবর ছিল যে, আলমপুর গ্রামের আবু হায়াতের বাড়িতে ১৫ থেকে ১৬ জন ডাকাত অবস্থান করছে। পুলিশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পর ওই বাড়িটি ঘেরাও করে। পুলিশ ডাকাতদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানালেও তারা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণ শুরু করে।
পুলিশ আরও জানায়, সংঘর্ষে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে ডাকাতরা। একপর্যায়ে পুলিশ অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্সের জন্য সহায়তা চায় এবং সদর থানা, পাঁচবিবি থানার পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এরপর ডাকাতরা ৮ থেকে ১০ জন পালিয়ে যায়, তবে পুলিশ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। এই ঘটনায় কনস্টেবল মিজানুর রহমান গুলিবিদ্ধ হন এবং তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ডাকাত দলের সদস্য মাজের আলী (৪৮), আব্দুল মাজেদ (২৬), প্রশান্ত রবিদাস (২৭) এবং পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার কারণে মোমেনা খাতুন (২৩) এবং স্মৃতি আক্তার (২০) গ্রেপ্তার হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে কোদাল, নগদ ৪১ হাজার টাকা, দুটি বটি, দুটি মোটরসাইকেল এবং অন্যান্য ডাকাতির সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে, যার মধ্যে ডাকাতি ও পুলিশের ওপর আক্রমণের অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশ জানায়, তাদের অভিযানে আরও বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে, যার ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, “ডাকাতদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানানো হয়েছিল, কিন্তু তারা আমাদের সঙ্গে লড়াই করেছে। আমরা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে ১২ রাউন্ড গুলি ছুড়েছি এবং পুলিশের গুলিতে কিছু ডাকাত বাড়ির ভেতরে লুকিয়ে পড়ে। আমরা তাদের আইনের আওতায় আনতে পেরেছি।”
এদিকে, পুলিশ জানিয়েছে, আরও কিছু সদস্য পালিয়ে গেছে, তাদের ধরতে অভিযান চলমান রয়েছে।