এর আগে, ২২ জানুয়ারি যুবদল নেতা মানিক হত্যার ঘটনায় ২১ নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি মোঃ আবু সাঈদ বাদী হয়ে খুলনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে স্থানীয় জনতা দুই আসামি সাজ্জাদ হাওলাদার ও তার বোন তুলিকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারে যে, হত্যার দুই প্রধান আসামি মেহেদী ও সম্রাট বাগেরহাটে অবস্থান করছে। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা নড়াইল পালানোর চেষ্টা করে, কিন্তু ব্যর্থ হয়। পরে তাদের গ্রেফতার করে বাগেরহাট থেকে র্যাব কার্যালয়ে আনা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
বিএনপি সভাপতি মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, নিহত যুবদল নেতা মানিক ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে আসামিদের মাদক ব্যবসা ও অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কথা বলায় আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়। তিনি তাদের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি করারও পরামর্শ দিয়েছিলেন। রাজনৈতিক ভিন্নমত এবং সাক্ষী হওয়ায় আসামিরা পরিকল্পিতভাবে মানিককে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়।
২০২৪ সালের ২০ জানুয়ারি সকালে, যুবদল নেতা মানিক তার স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে বাসা থেকে বের হলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাকে আক্রমণ করে। মেহেদীর হাতে থাকা ধারালো চাকুর আঘাতে মানিকের বুকে এবং সম্রাটের আঘাতে তার পেটে গুরুতর জখম হয়। মানিক আত্মরক্ষার চেষ্টা করলেও হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে ছুটে এলে সাজ্জাদ ও তার বোন তুলিকে আটক করা হয়।
গুরুতর আহত অবস্থায় মানিককে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে তার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় ঢাকায় স্থানান্তরের প্রস্তুতিকালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
র্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃত মেহেদী ও সম্রাটসহ অন্যান্য আসামিদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। মামলা নিয়ে তদন্ত কার্যক্রম চলমান।