ঢাকা ০৪:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লাখাইয়ে শিক্ষকের এমপিও বাতিল ও অপসারণে সুপারিশ

এম এ ওয়াহেদ, লাখাই::
হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার মুড়িয়াউক উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সৈয়াদা সুলতানার বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি এবং অর্থ আত্মসাৎ সংক্রান্ত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায়, তাকে এমপিও বাতিল এবং প্রধান শিক্ষক পদ থেকে অপসারণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানা জেলা প্রশাসকের কাছে সুপারিশ পত্র পাঠিয়েছেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আলতাফ হোসেনের তদন্তে সৈয়াদা সুলতানার বিরুদ্ধে পিবিজিএসই প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থ সঠিকভাবে খরচ না করার এবং বিভিন্ন খাতে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠে। তদন্তে জানা গেছে, শৌচাগার, বিশুদ্ধ পানি ব্যবস্থা, লাইব্রেরি বই এবং অন্যান্য উপকরণের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের ব্যবহার সঠিকভাবে হয়নি। এমনকি তদন্তের সময় তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে মুখোমুখি হতে পারেননি।

এছাড়া, তার বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষক নুরুল আমীনকে বেআইনিভাবে সাময়িক বরখাস্ত করে তার বেতন ভাতা প্রদান না করার অভিযোগও ওঠে। নুরুল আমীনকে পুনর্বহাল করার পরেও, সৈয়াদা সুলতানা তাকে যোগদান করতে না দেওয়া এবং কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করার বিষয়টি তদন্তে উঠে আসে।

শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান ও বিদ্যালয়ের কার্যক্রমেও তার অবহেলার কারণে ক্ষতি হচ্ছে বলে জানা গেছে। ইউনিসেফ কর্তৃক বরাদ্দকৃত পণ্যও সঠিকভাবে বিতরণ না করে ব্যক্তিগত স্বার্থে আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানা বলেন, সংবাদপত্রে প্রকাশিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

এদিকে, শিক্ষক সৈয়াদা সুলতানা অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছেন এবং বিষয়টি নিয়ে তিনি প্রতিরোধ করছেন।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০১:৫৬:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
৫৭২ বার পড়া হয়েছে

লাখাইয়ে শিক্ষকের এমপিও বাতিল ও অপসারণে সুপারিশ

আপডেট সময় ০১:৫৬:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার মুড়িয়াউক উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সৈয়াদা সুলতানার বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি এবং অর্থ আত্মসাৎ সংক্রান্ত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায়, তাকে এমপিও বাতিল এবং প্রধান শিক্ষক পদ থেকে অপসারণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানা জেলা প্রশাসকের কাছে সুপারিশ পত্র পাঠিয়েছেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আলতাফ হোসেনের তদন্তে সৈয়াদা সুলতানার বিরুদ্ধে পিবিজিএসই প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থ সঠিকভাবে খরচ না করার এবং বিভিন্ন খাতে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠে। তদন্তে জানা গেছে, শৌচাগার, বিশুদ্ধ পানি ব্যবস্থা, লাইব্রেরি বই এবং অন্যান্য উপকরণের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের ব্যবহার সঠিকভাবে হয়নি। এমনকি তদন্তের সময় তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে মুখোমুখি হতে পারেননি।

এছাড়া, তার বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষক নুরুল আমীনকে বেআইনিভাবে সাময়িক বরখাস্ত করে তার বেতন ভাতা প্রদান না করার অভিযোগও ওঠে। নুরুল আমীনকে পুনর্বহাল করার পরেও, সৈয়াদা সুলতানা তাকে যোগদান করতে না দেওয়া এবং কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করার বিষয়টি তদন্তে উঠে আসে।

শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান ও বিদ্যালয়ের কার্যক্রমেও তার অবহেলার কারণে ক্ষতি হচ্ছে বলে জানা গেছে। ইউনিসেফ কর্তৃক বরাদ্দকৃত পণ্যও সঠিকভাবে বিতরণ না করে ব্যক্তিগত স্বার্থে আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানা বলেন, সংবাদপত্রে প্রকাশিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

এদিকে, শিক্ষক সৈয়াদা সুলতানা অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছেন এবং বিষয়টি নিয়ে তিনি প্রতিরোধ করছেন।