ঢাকা ০৩:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জুমার নামাজে যাওয়ার পথে ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা

মিজানুর রহমান,চট্টগ্রাম::

ছবি: জাহাঙ্গীর আলম

চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়ায় জুমার নামাজে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলিতে জাহাঙ্গীর আলম (৫৫) নামে এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় তার ম্যানেজার আব্বাস গুরুতর আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে নোয়াপাড়ার নিরামিষ পাড়া এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত জাহাঙ্গীর আলম স্থানীয় মাকসুদ কমিউনিটি সেন্টারের মালিক এবং নগরীর আসাদগঞ্জ এলাকায় শুটকির ব্যবসা পরিচালনা করতেন।

পুলিশ জানায়, দুপুরে জাহাঙ্গীর আলম তার ম্যানেজার আব্বাসকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে জুমার নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন। আব্বাস মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন এবং জাহাঙ্গীর পেছনের সিটে বসে ছিলেন। এ সময় অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।

প্রথমে লাঠি দিয়ে জাহাঙ্গীরকে আঘাত করে মোটরসাইকেল থেকে ফেলে দেওয়া হয়। এরপর তাকে কাছ থেকে গুলি করা হয়। জাহাঙ্গীরকে বাঁচাতে গেলে আব্বাসও গুলিবিদ্ধ হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জাহাঙ্গীরকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত আব্বাসের চিকিৎসা চলছে।

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল আলম চৌধুরী জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জাহাঙ্গীরের কোনো রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে হত্যাকাণ্ডের পেছনে কী কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। জাহাঙ্গীর আলম তার সৎ ব্যবসায়িক আচরণের জন্য এলাকায় পরিচিত ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১২:০৬:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
৫৩৫ বার পড়া হয়েছে

জুমার নামাজে যাওয়ার পথে ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা

আপডেট সময় ১২:০৬:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়ায় জুমার নামাজে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলিতে জাহাঙ্গীর আলম (৫৫) নামে এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় তার ম্যানেজার আব্বাস গুরুতর আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে নোয়াপাড়ার নিরামিষ পাড়া এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত জাহাঙ্গীর আলম স্থানীয় মাকসুদ কমিউনিটি সেন্টারের মালিক এবং নগরীর আসাদগঞ্জ এলাকায় শুটকির ব্যবসা পরিচালনা করতেন।

পুলিশ জানায়, দুপুরে জাহাঙ্গীর আলম তার ম্যানেজার আব্বাসকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে জুমার নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন। আব্বাস মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন এবং জাহাঙ্গীর পেছনের সিটে বসে ছিলেন। এ সময় অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।

প্রথমে লাঠি দিয়ে জাহাঙ্গীরকে আঘাত করে মোটরসাইকেল থেকে ফেলে দেওয়া হয়। এরপর তাকে কাছ থেকে গুলি করা হয়। জাহাঙ্গীরকে বাঁচাতে গেলে আব্বাসও গুলিবিদ্ধ হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জাহাঙ্গীরকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত আব্বাসের চিকিৎসা চলছে।

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল আলম চৌধুরী জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জাহাঙ্গীরের কোনো রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে হত্যাকাণ্ডের পেছনে কী কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। জাহাঙ্গীর আলম তার সৎ ব্যবসায়িক আচরণের জন্য এলাকায় পরিচিত ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।