ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ বেশি হওয়ায় দাম কমে গেছে। তবে কৃষকরা বলছেন, গত কয়েক বছরে ভালো লাভ পেলেও এ বছর পরিস্থিতি ভিন্ন। আগাম আলু বাজারে আসায় দাম পড়ে গেছে এবং লোকসানের মুখে পড়েছেন তারা। আলুর ভরা মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই তারা মাঠ থেকে আলু তুলছেন।
জয়পুরহাট সদর উপজেলার জলাটুল গ্রামের কৃষক মজিবর রহমান বলেন, আমি দুই বিঘা জমি নিয়ে আলু চাষ করেছি, কিন্তু সব খরচ বাদ দিয়ে বিঘা প্রতি ১২ হাজার টাকা লোকসান হয়েছে।
কালাই উপজেলার কৃষক লুৎফর রহমান জানান, “৮ বিঘা জমিতে কার্ডিনাল আলু লাগিয়েছিলাম, কিন্তু এখন আলু বিক্রি করতে হচ্ছে ১০ টাকায়, অথচ খরচ পড়েছে ২২ টাকা কেজি। তাই লোকসানের ভয়ে আলু তোলা বন্ধ করেছি।
নতুনহাটের আলুর পাইকারি ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা ১০-১২ টাকা কেজি দরে আলু কিনে মাত্র ১-২ টাকা লাভে বিক্রি করছি। সরবরাহ বেশি হওয়ায় দাম পড়েছে।
ক্রেতা মিজানুর রহমান বলেন, এক সপ্তাহ আগে যে আলু ২৫-৩০ টাকায় কিনেছিলাম, এখন তা ১৫-১৮ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
জয়পুরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক শহিদুল ইসলাম কৃষকদের প্রতি আশ্বস্ত করে বলেন, “হতাশ হওয়ার কিছু নেই, সময়ের ব্যবধানে দাম বাড়তে পারে।
জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, জয়পুরহাট জেলায় এবার ৪৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। কৃষকরা সরকারের কাছে দ্রুত হস্তক্ষেপ এবং সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনার দাবি জানিয়েছেন।