ঢাকা ১০:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাহারোলে ধানের বীজতলার চারা গুলি হলুদ হয়ে যাচ্ছে

প্রসেনজিৎ চন্দ্র শর্মা,দিনাজপুর::

দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় মাঘের প্রথম সপ্তাহের তীব্র শৈত্যপ্রবাহ এবং ঘন কুয়াশার কারণে বোরো বীজতলা মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে। শীতজনিত কোল্ড ইনজুরির প্রভাবে বীজতলার ধানের চারাগুলি হলুদ হয়ে যাচ্ছে এবং অনেক চারা নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

কাহারোল উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, ধানের চারাগুলো রক্ষার জন্য কৃষকরা বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করছেন। কেউ কুয়াশা দূর করতে বালাইনাশক স্প্রে করছেন, আবার কেউ বিকালে বীজতলায় পানি সেচ দিয়ে সকালে পানি বের করে দিচ্ছেন।

ডহন্ডা গ্রামের কৃষক অতুল চন্দ্র রায় জানান, কয়েক দিনের শৈত্যপ্রবাহে চারাগুলো হলুদ হয়ে যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে চারা শুকিয়ে মারা যাচ্ছে।” একই গ্রামের আরেক কৃষক সত্যেন্দ্র বলেন, “কোল্ড ইনজুরির কারণে চারা লালচে বর্ণ ধারণ করে উপরের দিক থেকে শুকিয়ে যাচ্ছে। এতে চারা উৎপাদনে আমাদের সমস্যা হচ্ছে।

কাহারোল উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ২৭৮ হেক্টর জমিতে বোরো বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। এই মৌসুমে উপজেলায় ৫,৫৫০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা মল্লিকা রানী সেহানবীশ বলেন, গত কয়েক দিনের শৈত্যপ্রবাহে বীজতলার বড় ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। তবে বীজতলা রক্ষার জন্য কৃষকদের সন্ধ্যায় পানি জমিয়ে রেখে সকালে তা সরানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এতে চারাগুলি সতেজ থাকবে। কৃষি বিভাগ সার্বক্ষণিক কৃষকদের পাশে রয়েছে।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০১:৪৩:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
৫১১ বার পড়া হয়েছে

কাহারোলে ধানের বীজতলার চারা গুলি হলুদ হয়ে যাচ্ছে

আপডেট সময় ০১:৪৩:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় মাঘের প্রথম সপ্তাহের তীব্র শৈত্যপ্রবাহ এবং ঘন কুয়াশার কারণে বোরো বীজতলা মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে। শীতজনিত কোল্ড ইনজুরির প্রভাবে বীজতলার ধানের চারাগুলি হলুদ হয়ে যাচ্ছে এবং অনেক চারা নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

কাহারোল উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, ধানের চারাগুলো রক্ষার জন্য কৃষকরা বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করছেন। কেউ কুয়াশা দূর করতে বালাইনাশক স্প্রে করছেন, আবার কেউ বিকালে বীজতলায় পানি সেচ দিয়ে সকালে পানি বের করে দিচ্ছেন।

ডহন্ডা গ্রামের কৃষক অতুল চন্দ্র রায় জানান, কয়েক দিনের শৈত্যপ্রবাহে চারাগুলো হলুদ হয়ে যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে চারা শুকিয়ে মারা যাচ্ছে।” একই গ্রামের আরেক কৃষক সত্যেন্দ্র বলেন, “কোল্ড ইনজুরির কারণে চারা লালচে বর্ণ ধারণ করে উপরের দিক থেকে শুকিয়ে যাচ্ছে। এতে চারা উৎপাদনে আমাদের সমস্যা হচ্ছে।

কাহারোল উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ২৭৮ হেক্টর জমিতে বোরো বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। এই মৌসুমে উপজেলায় ৫,৫৫০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা মল্লিকা রানী সেহানবীশ বলেন, গত কয়েক দিনের শৈত্যপ্রবাহে বীজতলার বড় ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। তবে বীজতলা রক্ষার জন্য কৃষকদের সন্ধ্যায় পানি জমিয়ে রেখে সকালে তা সরানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এতে চারাগুলি সতেজ থাকবে। কৃষি বিভাগ সার্বক্ষণিক কৃষকদের পাশে রয়েছে।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/checkpostcom/public_html/wp-includes/functions.php on line 5464