ভাঙ্গা-গড়ায় বৈচিত্র্যময় জীবনের অধ্যায়
মানুষের জীবন ভাঙ্গা-গড়ার এক অনন্ত চক্র। জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে কোনো না কোনোভাবে আমাদের এই চক্রের ভেতর দিয়ে যেতে হয়। কখনো আনন্দে রাঙা রংধনুর আলো ছড়িয়ে পড়ে জীবনে, আবার কখনো বিষণ্নতার কালো মেঘে ছেয়ে যায় সবকিছু।
জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত যেন এক ভাঙ্গা-গড়ার খেলা। প্রেমিক-প্রেমিকাদের সম্পর্কের উত্থান-পতন, সংসারের কলহ, কিংবা প্রকৃতির নিজস্ব নিয়মে নদীর পাড় ভাঙা—সবই এই চক্রের অংশ। সেলিব্রেটিদের জীবনেও এ খেলা নিত্যদিনের সঙ্গী, যা অনেক সময় সুনামির রূপ নেয়। এমনকি রাজনীতির ক্ষেত্রেও স্বার্থের জন্য দল ভাঙা-গড়া আর নতুন দল গঠনের ঘটনা অহরহ দেখা যায়।
এই ভাঙ্গা-গড়ার মধ্যে জীবন এগিয়ে যায়। অনেক সময় এই খেলা চুপচাপ দেখা ছাড়া মানুষের আর কিছুই করার থাকে না। এটি স্মরণ করিয়ে দেয় সৈয়দ আব্দুল হাদীর গাওয়া সেই কালজয়ী গান-
আমি দেখেছি নদীর অনেক ভাঙ্গা গড়ার খেলা
নিজের জীবনের এলো ভাঙ্গনের বেলা।
সাদ্দাম হোসেন সাগরের কবিতাও জীবনের এ বাস্তবতাকে তুলে ধরে-
আর কতকাল দেখবো আমি
এই ভাঙা-গড়ার খেলা,
ভাঙা-গড়া দেখতে দেখতে
কেটে যায় মোর বেলা।
তবে এই ভাঙ্গা-গড়ার মধ্যে লুকিয়ে থাকে গড়ার এক নতুন সম্ভাবনা। যাদের মধ্যে দুনিয়াকে গড়ার যোগ্যতা বেশি, তারাই আল্লাহর দৃষ্টিতে বিশেষ মর্যাদার অধিকারী। কিন্তু যখন তারা ভাঙার পথে বেশি ঝোঁকে, তখন তাদের স্থান অন্য যোগ্য ব্যক্তিরা দখল করে।
জীবনের এই ভাঙ্গা-গড়ার খেলা আমাদের কেবল স্মরণ করিয়ে দেয় যে, সবকিছুই পরিবর্তনশীল। আর এই পরিবর্তনের মাঝেই লুকিয়ে থাকে জীবনের আসল সৌন্দর্য।