অপহৃত ছাত্র প্রতীক সরকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বান্দুরা এলাকার সঞ্জয় কুমার সরকারের ছেলে। অপহরণের পর মাইক্রোবাসটি দ্রুত দোহারের দিকে রওনা দেয়। খবর পেয়ে ফুলতলা ফাঁড়ির সামনে পুলিশ ব্যারিকেড দেয় এবং গাড়ি আটক করে।
আটককৃত অপহরণকারীরা হলেন, পারভেজ আহমেদ (৪০), শরীয়তপুরের নড়িয়া থানার বাসিন্দা, মোক্তার হোসেন আকাশ (৩৯), ঢাকার যাত্রাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা, আতিক হাওলাদার আরিফ (৪৪), মুন্সিগঞ্জের লৌহজং এলাকার বাসিন্দা, জুম্মন খান (৪১), ঢাকার জুরাইন এলাকার বাসিন্দা, মিজান (৫৩), চাঁদপুরের বরইনাও এলাকার বাসিন্দা এবং মাইক্রোবাসের চালক।
অপহরণের ঘটনার বিবরণে প্রতীক জানায়, সকাল ৯টার দিকে স্কুলে যাওয়ার পথে একজন ব্যক্তি তার বাবার বন্ধু পরিচয়ে ডেকে গাড়িতে তোলে। শিশুটি চিৎকার করলে তার মুখ চেপে ধরা হয়।
খবর পাওয়ার পর দোহার থানা পুলিশ ফুলতলা ফাঁড়ির সামনে ব্যারিকেড দেয় এবং গাড়ি থামিয়ে প্রতীককে উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলেই ৫ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শিশুটির বাবা সঞ্জয় কুমার সরকার এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। তবে কী উদ্দেশ্যে এই অপহরণ ঘটানো হয়েছিল, তা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
দোহার সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল আলম ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাংবাদিকদের জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় জনতা ফাঁড়ির সামনে জড়ো হয়ে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এ ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ায় শিশুটিকে নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।