ঢাকা ০৮:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খানসামায় ৬ বছরেও শেষ হয়নি সেতুর নির্মাণকাজ

প্রসেনজিৎ চন্দ্র শর্মা ,চিরিরবন্দর ,দিনাজপুর ::

ছবি: চেকপোস্ট

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার গোয়ালডিহি ইউনিয়নের ইছামতি নদীর ওপর নির্মাণাধীন সাঁকোরপাড় সেতু ছয় বছরেও শেষ না হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিভিন্ন অজুহাতে সেতুর নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকায় হাজারো মানুষ ও যানবাহনের চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।

২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনের আগে তড়িঘড়ি করে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। তবে নির্বাচনের পরপরই কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরে ২০২১ সালের জুন মাসে সেতুটির কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কথা বলে ঠিকাদার দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ রাখেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬০ মিটার এবং নির্মাণ ব্যয় ৩ কোটি ৩৬ লাখ ২৮ হাজার ৯৯৬ টাকা। পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে স্থানীয় ঠিকাদার এম এহতেশামুল হক এই কাজ শুরু করেন। তবে কয়েক বছর কাজ স্থগিত থাকার পর সম্প্রতি কাজ পুনরায় শুরু হলেও তা ধীরগতিতে চলছে।

সেতুটির নির্মাণ বিলম্বের কারণে স্থানীয় বাসিন্দা, কৃষক, শিক্ষার্থী ও রোগীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

  • সেতুর দুই পাড়ে গোয়ালডিহি, নলবাড়ি, দুবলিয়া, পূর্ব হাশিমপুর, পশ্চিম হাশিমপুর গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ বাস করেন।
  • মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল, এবং রিকশাভ্যান ছাড়া কোনো যানবাহন কাঠের সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে পারে না।
  • বিকল্প পথে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে, যা সময় ও খরচ দুটোই বাড়িয়ে দিয়েছে।

গোয়ালডিহি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সাখাওয়াত হোসেন লিটন জনগণের ভোগান্তি কমাতে সেতুর পাশে একটি কাঠের সাঁকো নির্মাণ করেছেন। তবে সেটি প্রয়োজন মেটাতে পুরোপুরি সক্ষম নয়।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তা শাহ মো. ওবায়দুর রহমান জানান, সেতুর নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য ঠিকাদারকে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে কাজের গতি সন্তোষজনক নয়।

সেতুর কাজ দ্রুত সম্পন্ন করে জনগণের যাতায়াতের সুবিধা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। বর্ষা মৌসুমে ভোগান্তি আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ০৮:১২:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫
৫৪৪ বার পড়া হয়েছে

খানসামায় ৬ বছরেও শেষ হয়নি সেতুর নির্মাণকাজ

আপডেট সময় ০৮:১২:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার গোয়ালডিহি ইউনিয়নের ইছামতি নদীর ওপর নির্মাণাধীন সাঁকোরপাড় সেতু ছয় বছরেও শেষ না হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিভিন্ন অজুহাতে সেতুর নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকায় হাজারো মানুষ ও যানবাহনের চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।

২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনের আগে তড়িঘড়ি করে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। তবে নির্বাচনের পরপরই কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরে ২০২১ সালের জুন মাসে সেতুটির কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কথা বলে ঠিকাদার দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ রাখেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬০ মিটার এবং নির্মাণ ব্যয় ৩ কোটি ৩৬ লাখ ২৮ হাজার ৯৯৬ টাকা। পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে স্থানীয় ঠিকাদার এম এহতেশামুল হক এই কাজ শুরু করেন। তবে কয়েক বছর কাজ স্থগিত থাকার পর সম্প্রতি কাজ পুনরায় শুরু হলেও তা ধীরগতিতে চলছে।

সেতুটির নির্মাণ বিলম্বের কারণে স্থানীয় বাসিন্দা, কৃষক, শিক্ষার্থী ও রোগীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

  • সেতুর দুই পাড়ে গোয়ালডিহি, নলবাড়ি, দুবলিয়া, পূর্ব হাশিমপুর, পশ্চিম হাশিমপুর গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ বাস করেন।
  • মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল, এবং রিকশাভ্যান ছাড়া কোনো যানবাহন কাঠের সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে পারে না।
  • বিকল্প পথে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে, যা সময় ও খরচ দুটোই বাড়িয়ে দিয়েছে।

গোয়ালডিহি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সাখাওয়াত হোসেন লিটন জনগণের ভোগান্তি কমাতে সেতুর পাশে একটি কাঠের সাঁকো নির্মাণ করেছেন। তবে সেটি প্রয়োজন মেটাতে পুরোপুরি সক্ষম নয়।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তা শাহ মো. ওবায়দুর রহমান জানান, সেতুর নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য ঠিকাদারকে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে কাজের গতি সন্তোষজনক নয়।

সেতুর কাজ দ্রুত সম্পন্ন করে জনগণের যাতায়াতের সুবিধা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। বর্ষা মৌসুমে ভোগান্তি আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা।