ঢাকা ১০:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়াদৌড় প্রতিযোগিতা

রাহিম হোসেন, চাপাইনবাবগঞ্জ::

ঘোড়াদৌড় প্রতিযোগিতা

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের বাউল মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়াদৌড় প্রতিযোগিতা। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বিকেলে আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় প্রায় ২০০টি ঘোড়া।

প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে কাজলি নামের মাত্র ৮ বছরের এক শিশু ঘোরসওয়ার। পুরস্কার হিসেবে তাঁর হাতে একটি ছাগল তুলে দেওয়া হয়।

গ্রামীন ঐতিহ্যবাহী এ আয়োজনে হাজারো দর্শকের সমাগম হয়। বরেন্দ্র অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রাম থেকে আত্মীয়-স্বজনরা প্রতিযোগিতা উপভোগ করতে আসেন।

সদর উপজেলার বাসিন্দা আহসান হাবিব বলেন, আমি দীর্ঘদিন মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছি। গ্রাম-বাংলার এসব খেলা দেখতে পাই না। তাই আত্মীয়ের বাড়িতে থেকে খেলা দেখতে এসেছি।

গোমস্তাপুর উপজেলা থেকে আসা দর্শক রিপন আলী বলেন, ছোটবেলা থেকেই ঘোড়া আমার প্রিয়। ঘোড়াদৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে দারুণ লাগে, তাই এখানে চলে আসলাম।

ঘোড়াদৌড় উপলক্ষে মাঠজুড়ে বসে বিভিন্ন পণ্যের দোকান। বাদাম বিক্রেতা আশিক আলী বলেন, প্রতিবছর এখানে ঘোড়াদৌড় হয়। সকাল থেকেই প্রচুর লোক আসতে থাকে, বিক্রিও বেশ ভালো হয়।

এই ধরনের আয়োজন গ্রামীণ ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে ও পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পরিচিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আয়োজকরা জানান, ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এ ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৩:১৩:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫
৫৪৫ বার পড়া হয়েছে

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়াদৌড় প্রতিযোগিতা

আপডেট সময় ০৩:১৩:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের বাউল মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়াদৌড় প্রতিযোগিতা। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বিকেলে আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় প্রায় ২০০টি ঘোড়া।

প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে কাজলি নামের মাত্র ৮ বছরের এক শিশু ঘোরসওয়ার। পুরস্কার হিসেবে তাঁর হাতে একটি ছাগল তুলে দেওয়া হয়।

গ্রামীন ঐতিহ্যবাহী এ আয়োজনে হাজারো দর্শকের সমাগম হয়। বরেন্দ্র অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রাম থেকে আত্মীয়-স্বজনরা প্রতিযোগিতা উপভোগ করতে আসেন।

সদর উপজেলার বাসিন্দা আহসান হাবিব বলেন, আমি দীর্ঘদিন মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছি। গ্রাম-বাংলার এসব খেলা দেখতে পাই না। তাই আত্মীয়ের বাড়িতে থেকে খেলা দেখতে এসেছি।

গোমস্তাপুর উপজেলা থেকে আসা দর্শক রিপন আলী বলেন, ছোটবেলা থেকেই ঘোড়া আমার প্রিয়। ঘোড়াদৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে দারুণ লাগে, তাই এখানে চলে আসলাম।

ঘোড়াদৌড় উপলক্ষে মাঠজুড়ে বসে বিভিন্ন পণ্যের দোকান। বাদাম বিক্রেতা আশিক আলী বলেন, প্রতিবছর এখানে ঘোড়াদৌড় হয়। সকাল থেকেই প্রচুর লোক আসতে থাকে, বিক্রিও বেশ ভালো হয়।

এই ধরনের আয়োজন গ্রামীণ ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে ও পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পরিচিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আয়োজকরা জানান, ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এ ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে।