আন্দোলন সংগ্রামের সাহসী যোদ্ধা ছিলেন জহর মীর: রকিবুল ইসলাম বকুল
আন্দোলন-সংগ্রামের রাজপথের সাহসী যোদ্ধা ছিলেন বিএনপি নেতা আবু জাফর জহর মীর। জনসেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী এই নেতা মাঠকর্মীদের জন্য ছিলেন অনুপ্রেরণার উৎস। রাজনীতি তাঁর কাছে ছিল ত্যাগের, সংগ্রামের—কখনোই ভোগ-বিলাসের নয়।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুল বলেছেন, “জহর মীর আজীবন রাজপথের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি ছিলেন বিএনপি নেতাকর্মীদের সাহসের ঠিকানা।” শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় নগরীর বৈকালীস্থ জানাজা চত্বরে খুলনা খালিশপুর থানা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রকিবুল ইসলাম বকুল আরও বলেন, “অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে দ্রুত সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি। বিএনপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গেলে বন্ধ কল-কারখানা চালু করা হবে এবং সমাজ থেকে সন্ত্রাস ও মাদক নির্মূল করা হবে।”
খালিশপুর থানা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আলী বাবুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বিশ্বাস ও সাংগঠনিক সম্পাদক বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুসের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা ও সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ স.ম আব্দুর রহমান, কাজী মাহমুদ আলী, শের আলম সান্টু, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদী, কেএম হুমায়ুন কবীর, মুর্শিদ কামাল, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, শেখ ইমাম হোসেন, আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, শেখ জাহিদুল ইসলাম, সৈয়দ সাজ্জাদ হাসান পরাগ, নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, মিজানুর রহমান মিল্টন, আজিজা খানম এলিজা, তাজিম বিশ্বাস, আনজিরা খাতুন, নিঘাত সীমা, সালমা বেগম, পাপিয়া রহমান পারুল, মদিনা হাওলাদার, লুবনা ইয়াসমিন, শারমিন আক্তার প্রমুখ।
উল্লেখ্য, মহানগর বিএনপির সদস্য ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি প্রবীণ রাজনীতিবিদ জহর মীর গত ২২ জানুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর মৃত্যুতে খুলনা বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।