ঢাকা ০৭:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ছোলা-কিশমিশ-ডাল আমদানি বেড়েছে

সুকমল চন্দ্র বর্মন, জয়পুরহাট::

আসন্ন রমজান উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কিশমিশ, ছোলাবুটসহ বিভিন্ন জাতের ডালের আমদানি বেড়েছে। দেশের বাজারে এসব নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে আমদানি করছেন বন্দরের ব্যবসায়ীরা। তবে গত বছরের তুলনায় এবার দাম কিছুটা বেশি বলছেন পণ্য কিনতে আসা পাইকাররা। অন্যদিকে পণ্যগুলো খালাস করতে সব ধরনের সহযোগিতা করছে হিলি কাস্টমস।

হিলি স্থলবন্দর ঘুরে জানা যায়, রমজান উপলক্ষে হিলি বন্দর আমদানিকারকরা ছোলাবুট, কিশমিশসহ বিভিন্ন ডাল জাতীয় পণ্যের আমদানি বাড়িয়ে দিয়েছেন। এতে সরকারি রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির পাশাপাশি বন্দরে কর্মরত শ্রমিকদের আয় বেড়েছে।

বন্দরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কিছুদিন আগে ছোলা, খেসারি, মসুর, মুগডাল প্রতি মাসে চার থেকে পাঁচ ট্রাক আমদানি হলেও বর্তমানে তা প্রতিদিনই আমদানি হচ্ছে এসব পণ্য। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পাইকাররা হিলি বন্দরে এসে ডাল, ছোলা, কিশমিশ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। বন্দরে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ছোলাবুট ৯৫ থেকে ১০০ টাকা, খেসারির ডাল ১০০ টাকা, মুগডাল ১১০ টাকা ও মসুর ডাল ১২৮ থেকে ১৩০ কেজি দরে।

বিভিন্ন স্থান থেকে পণ্য কিনতে আসা পাইকাররা বলেন, আর কয়েক দিন পরে রমজান মাস শুরু। রমজানে ছোলা, মসুর ডালসহ নিত্যপণ্যের চাহিদা থাকে। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর একটু দাম বেশি। এজন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে পণ্য বিক্রি করতে একটু সমস্যা হচ্ছে। তারা বলেন, রমজান মাসে নিত্যপণ্যের বাজারদর স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসনও বাজার নিয়ন্ত্রণে কড়া নজরদারি রাখলে দাম বাড়ার সম্ভাবনা থাকবে না। বাজার নজরদারি থাকলে সিন্ডিকেট তৈরি ব্যবসায়ীরা ছোলাবুটসহ নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি করতে পারবে না।

বন্দরের শ্রমিকরা বলেন, আগের তুলনায় বন্দরে ভারতীয় ট্রাকের সংখ্যা বেড়েছে। বিশেষ করে চাল, ছোলা বুট ও ডাল জাতীয় গাড়ির সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়েছে। এতে আমাদের দৈনিক আয় ও বৃদ্ধি পেয়েছে।

হিলি বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক খবরের কাগজকে বলেন, ‘আসন্ন রমজান মাসে ছোলাবুটসহ বিভিন্ন ডালের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। রমজান মাসে প্রতিটি বাড়ি, হোটেল এগুলোতে ছোলাবুটের চাহিদা থাকলেও রমজান মাসে অন্য বছরের চেয়ে বেশি। এ ছাড়াও কিশমিশের চাহিদা আছে। দেশের বাজারে এসব নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে ছোলাবুট, ডাল ও কিশমিশসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করছেন বন্দরের আমদানিকারকরা। আশা করছি আমদানি অব্যাহত থাকলে দাম স্বাভাবিক থাকবে।

হিলি কাস্টমসের তথ্যমতে, জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারির ১৭ তারিখ পর্যন্ত ১৮টি ভারতীয় ট্রাকে ৩৮০ টন কিশমিশ, ৫০ ট্রাকে ২ হাজার ৪৫ টন মসুর ডাল, ২০ ট্রাকে ৮৬০ টন মুগডাল, ১৩ ট্রাকে ৩৬৫ টন মাষকলাই, ১০১ ট্রাকে ৩ হাজার ৭৪০ টন খেসারি ডাল ও ১৫ ট্রাকে ৫২০ টন ছোলাবুট আমদানি হয়েছে। হিলি শুল্ক স্টেশন দিয়ে রমজান উপলক্ষে নিত্যপণ্য বিশেষ করে ছোলা, খেসারি ডাল, কিশমিশ মুগডাল আমদানি আগের তুলনায় বৃদ্ধি পাওয়ায় পণ্যগুলো ভারত থেকে বন্দরে আসার পর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ দ্রুত খালাসের সব ধরনের সহযোগিতা করেছেন।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৭:২৭:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৫১৪ বার পড়া হয়েছে

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ছোলা-কিশমিশ-ডাল আমদানি বেড়েছে

আপডেট সময় ০৭:২৭:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আসন্ন রমজান উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কিশমিশ, ছোলাবুটসহ বিভিন্ন জাতের ডালের আমদানি বেড়েছে। দেশের বাজারে এসব নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে আমদানি করছেন বন্দরের ব্যবসায়ীরা। তবে গত বছরের তুলনায় এবার দাম কিছুটা বেশি বলছেন পণ্য কিনতে আসা পাইকাররা। অন্যদিকে পণ্যগুলো খালাস করতে সব ধরনের সহযোগিতা করছে হিলি কাস্টমস।

হিলি স্থলবন্দর ঘুরে জানা যায়, রমজান উপলক্ষে হিলি বন্দর আমদানিকারকরা ছোলাবুট, কিশমিশসহ বিভিন্ন ডাল জাতীয় পণ্যের আমদানি বাড়িয়ে দিয়েছেন। এতে সরকারি রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির পাশাপাশি বন্দরে কর্মরত শ্রমিকদের আয় বেড়েছে।

বন্দরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কিছুদিন আগে ছোলা, খেসারি, মসুর, মুগডাল প্রতি মাসে চার থেকে পাঁচ ট্রাক আমদানি হলেও বর্তমানে তা প্রতিদিনই আমদানি হচ্ছে এসব পণ্য। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পাইকাররা হিলি বন্দরে এসে ডাল, ছোলা, কিশমিশ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। বন্দরে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ছোলাবুট ৯৫ থেকে ১০০ টাকা, খেসারির ডাল ১০০ টাকা, মুগডাল ১১০ টাকা ও মসুর ডাল ১২৮ থেকে ১৩০ কেজি দরে।

বিভিন্ন স্থান থেকে পণ্য কিনতে আসা পাইকাররা বলেন, আর কয়েক দিন পরে রমজান মাস শুরু। রমজানে ছোলা, মসুর ডালসহ নিত্যপণ্যের চাহিদা থাকে। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর একটু দাম বেশি। এজন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে পণ্য বিক্রি করতে একটু সমস্যা হচ্ছে। তারা বলেন, রমজান মাসে নিত্যপণ্যের বাজারদর স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসনও বাজার নিয়ন্ত্রণে কড়া নজরদারি রাখলে দাম বাড়ার সম্ভাবনা থাকবে না। বাজার নজরদারি থাকলে সিন্ডিকেট তৈরি ব্যবসায়ীরা ছোলাবুটসহ নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি করতে পারবে না।

বন্দরের শ্রমিকরা বলেন, আগের তুলনায় বন্দরে ভারতীয় ট্রাকের সংখ্যা বেড়েছে। বিশেষ করে চাল, ছোলা বুট ও ডাল জাতীয় গাড়ির সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়েছে। এতে আমাদের দৈনিক আয় ও বৃদ্ধি পেয়েছে।

হিলি বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক খবরের কাগজকে বলেন, ‘আসন্ন রমজান মাসে ছোলাবুটসহ বিভিন্ন ডালের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। রমজান মাসে প্রতিটি বাড়ি, হোটেল এগুলোতে ছোলাবুটের চাহিদা থাকলেও রমজান মাসে অন্য বছরের চেয়ে বেশি। এ ছাড়াও কিশমিশের চাহিদা আছে। দেশের বাজারে এসব নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে ছোলাবুট, ডাল ও কিশমিশসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করছেন বন্দরের আমদানিকারকরা। আশা করছি আমদানি অব্যাহত থাকলে দাম স্বাভাবিক থাকবে।

হিলি কাস্টমসের তথ্যমতে, জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারির ১৭ তারিখ পর্যন্ত ১৮টি ভারতীয় ট্রাকে ৩৮০ টন কিশমিশ, ৫০ ট্রাকে ২ হাজার ৪৫ টন মসুর ডাল, ২০ ট্রাকে ৮৬০ টন মুগডাল, ১৩ ট্রাকে ৩৬৫ টন মাষকলাই, ১০১ ট্রাকে ৩ হাজার ৭৪০ টন খেসারি ডাল ও ১৫ ট্রাকে ৫২০ টন ছোলাবুট আমদানি হয়েছে। হিলি শুল্ক স্টেশন দিয়ে রমজান উপলক্ষে নিত্যপণ্য বিশেষ করে ছোলা, খেসারি ডাল, কিশমিশ মুগডাল আমদানি আগের তুলনায় বৃদ্ধি পাওয়ায় পণ্যগুলো ভারত থেকে বন্দরে আসার পর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ দ্রুত খালাসের সব ধরনের সহযোগিতা করেছেন।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/checkpostcom/public_html/wp-includes/functions.php on line 5464