হাসিনার করা আইনেই তার গণহত্যার বিচার হবে, আশা করি ফাঁসি হবে: জামায়াত
শেখ হাসিনা যে আইন ও ট্রাইব্যুনাল করেছেন সে আইন ও ট্রাইব্যুনালেই তার বিচার হবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য প্রফেসর মো. আব্দুত তাওয়াব।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে ফরিদপুরের সালথা উপজেলা সদরের বাইপাস সড়কে স্থানীয় জামায়াত আয়োজিত গণসমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আব্দুত তাওয়াব বলেন, যে আইনে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। সেই আইনেই ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের নতুন কোনো আইন করা লাগেনি। শেখ হাসিনার করা আইনেই তার চালানো তিনটি গণহত্যার বিচার করা হবে। তা হলো, পিলখানার হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বরে হেফাজত নেতাকর্মী ও দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর রায়ের পরে সারাদেশে ২০০ লোককে গুলি করে হত্যা। এসব গণহত্যার বিচার শেখ হাসিনার গঠন করা আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালেই হবে।
এই জামায়াত নেতা বলেন, শেখ হাসিনা বিচার করেছে সাক্ষ্য-প্রমাণ ছাড়া মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে। ওই একই ট্রাইব্যুনালে এখন সত্য-সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার করা হবে। যা পৃথিবীর সবাই জানবে। আশা করি, শেখ হাসিনার ফাঁসি হবে। কারণ দেশের শিশুরাও এই খুনি হাসিনার ফাঁসি চায়।
শেখ হাসিনাকে মানবতার দুশমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, বড় বড় স্বৈরশাসকের ইতিহাস পড়েছি। কিন্তু শেখ হাসিনার মতো একজন নারী, একজন মা যে এইরকম স্বৈরশাসক ও নরপিশাচ হয়, তা জানা ছিল না। যে তার দেশের একজন সন্তানকে নির্মভাবে হত্যা করে তারপর রক্তমাখা হাতে নানা অঙ্গভঙ্গিতে চলতে থাকে। এমন এক ভয়ঙ্কর স্বৈরশাসক দীর্ঘ বছর আমাদের দেশ শাসন করেছেন। তিনি আসলে ছিলেন মানবতার দুশমন। তার কাছে কেউ নিরাপদ ছিল না।
সালথা উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক মাওলানা মো. আবুল ফজলের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মো. আজিজুর রহমানের সঞ্চলনায় গণসমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের নায়েব আমির ইমতিয়াজ উদ্দীন আহমেদ, সহকারী সেক্রেটারি আবু হারিচ মোল্যা, বায়তুলমাল সেক্রেটারি মো. ফারুক হোসেন, অফিস সেক্রেটারি অধ্যাপক মিজানুর রহমান, জেলা মজলিসে শুরা সদস্য মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, মো. সিদ্দিকুর রহমান, নগরকান্দা উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মো. সোহরাব হোসেন, জেলা ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি হাফেজ মো. ওবায়দুল্লাহ প্রমুখ।
এছাড় জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের হাজারো নেতা-কর্মী এসময় উপস্থিত ছিলেন।