ঢাকা ১০:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লাখাইয়ে সরিষার বাম্পার ফলন, উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১৬২০ মেট্রিক টন

এম এ ওয়াহেদ, লাখাই::

ছবি: সরিষার

এ বছর লাখাই উপজেলায় সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের তথ্যমতে, ১৬০০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে এবং উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬২০ মেট্রিক টন।

লাখাই উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের কৃষকরা এ বছর সরিষা চাষে বিশেষ আগ্রহ দেখিয়েছেন। উপজেলা কৃষি দপ্তরের সহযোগিতায় ৩৫৫ জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে। নতুন জাতের সরিষা বারি-১৪, ১৭, ১৮ এবং বিনা-০৯, ১১ এর চাষাবাদে কৃষকদের উৎসাহিত করা হয়েছে।

সরিষার ভালো ফলনের পেছনে পোকামাকড়ের আক্রমণ প্রতিরোধে কৃষি বিভাগের তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। কৃষকদের সঠিক পরামর্শ দিয়ে কীটনাশক ব্যবহারের মাধ্যমে ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে। মুড়িয়াউক, মোড়াকরি এবং করাব ইউনিয়নে সরিষার আবাদ তুলনামূলকভাবে বেশি হয়েছে।

উপজেলা কৃষিবিদ মোঃ মাহমুদুল হাসান মিজান জানান, এ বছর ৯৫০ জন কৃষককে কৃষি প্রণোদনা হিসেবে জনপ্রতি ১ কেজি সরিষা বীজ, ১০ কেজি এমওপি এবং ১০ কেজি ডিএপি সার প্রদান করা হয়েছে। প্রশিক্ষণ ও প্রদর্শনীর মাধ্যমে আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি সম্পর্কে কৃষকদের সচেতন করা হয়েছে। এতে কৃষকেরা নতুন জাত চাষে আগ্রহী হয়েছেন এবং ফলনও ভালো হয়েছে।

সরিষার ভালো ফলন নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন কৃষকরা। তাদের মতে, এ বছর জমির উর্বরতা এবং আবহাওয়া সরিষা চাষের জন্য অনুকূল ছিল। পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হওয়ায় ফলন বৃদ্ধি পেয়েছে।

লাখাই উপজেলায় সরিষার এ বাম্পার ফলন কৃষি অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৪:০৩:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫
৫৫৫ বার পড়া হয়েছে

লাখাইয়ে সরিষার বাম্পার ফলন, উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১৬২০ মেট্রিক টন

আপডেট সময় ০৪:০৩:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫

এ বছর লাখাই উপজেলায় সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের তথ্যমতে, ১৬০০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে এবং উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬২০ মেট্রিক টন।

লাখাই উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের কৃষকরা এ বছর সরিষা চাষে বিশেষ আগ্রহ দেখিয়েছেন। উপজেলা কৃষি দপ্তরের সহযোগিতায় ৩৫৫ জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে। নতুন জাতের সরিষা বারি-১৪, ১৭, ১৮ এবং বিনা-০৯, ১১ এর চাষাবাদে কৃষকদের উৎসাহিত করা হয়েছে।

সরিষার ভালো ফলনের পেছনে পোকামাকড়ের আক্রমণ প্রতিরোধে কৃষি বিভাগের তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। কৃষকদের সঠিক পরামর্শ দিয়ে কীটনাশক ব্যবহারের মাধ্যমে ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে। মুড়িয়াউক, মোড়াকরি এবং করাব ইউনিয়নে সরিষার আবাদ তুলনামূলকভাবে বেশি হয়েছে।

উপজেলা কৃষিবিদ মোঃ মাহমুদুল হাসান মিজান জানান, এ বছর ৯৫০ জন কৃষককে কৃষি প্রণোদনা হিসেবে জনপ্রতি ১ কেজি সরিষা বীজ, ১০ কেজি এমওপি এবং ১০ কেজি ডিএপি সার প্রদান করা হয়েছে। প্রশিক্ষণ ও প্রদর্শনীর মাধ্যমে আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি সম্পর্কে কৃষকদের সচেতন করা হয়েছে। এতে কৃষকেরা নতুন জাত চাষে আগ্রহী হয়েছেন এবং ফলনও ভালো হয়েছে।

সরিষার ভালো ফলন নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন কৃষকরা। তাদের মতে, এ বছর জমির উর্বরতা এবং আবহাওয়া সরিষা চাষের জন্য অনুকূল ছিল। পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হওয়ায় ফলন বৃদ্ধি পেয়েছে।

লাখাই উপজেলায় সরিষার এ বাম্পার ফলন কৃষি অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।