লাখাইয়ে জলাবদ্ধতা নিরসনে রাস্তা কাটার উদ্যোগ, পানির তোড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার মোড়াকরি ইউনিয়নে জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য স্থানীয়দের উদ্যোগে সরকারি সড়কের নিচ দিয়ে পাইপ বসানোর সময় পানির তীব্র তোড়ে ভেসে গেছে সড়কের বড় একটি অংশ। এতে গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়ক দিয়ে জনচলাচল ও যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে পড়েছে। ফলে লাখাই ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার অন্তত ২০-২৫টি গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে মোড়াকরি বাজার থেকে সুবিদপুর-লক্ষীপুর সড়কের লক্ষীপুর মাইজহাটি নামক স্থানে। এলাকাবাসী জানায়, জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও বাসিন্দারা আলোচনার ভিত্তিতে রোববার (৪ আগস্ট) সকালে রাস্তার নিচে পাইপ বসাতে শ্রমিক লাগিয়ে খনন শুরু করেন। কিন্তু পাইপ বসানোর আগেই পানির স্রোতে রাস্তার ১৫-২০ ফুট অংশ ধসে বড় একটি গর্ত তৈরি হয়, যা রীতিমতো একটি খালের আকার নেয়।
এতে সড়কের উভয় পাশে যানবাহন ও পথচারীরা আটকা পড়ে যান। এই সড়কে নিয়মিত চলাচল করে সিএনজি চালিত অটোরিকশা, ইজিবাইকসহ বিভিন্ন যানবাহন। সড়ক ভেঙে পড়ায় সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা পণ্য পরিবহনসহ নানাভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
ভুক্তভোগী ও পরিবহন শ্রমিক নেতারা জানান, সঠিক পরিকল্পনা ও অনুমতি ছাড়া সড়ক খনন করায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ফলে ফান্দাউক, ধরমন্ডল, নাসিরনগরসহ বহু এলাকার মানুষের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য হীরা মিয়া বলেন, “জলাবদ্ধতার সমস্যার কথা এলাকাবাসী আমাকে জানায়। পরে আমি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে অস্থায়ীভাবে চলাচলের ব্যবস্থা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”
মোড়াকরি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাসেম মোল্লা ফয়সাল বলেন, “আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। জানতে পেরেছি, স্থানীয় কিছু বাসিন্দা নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে পাইপ বসানোর চেষ্টা করেন। এ থেকেই সমস্যা তৈরি হয়েছে।”
এ বিষয়ে লাখাই উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী এহতেশামুল হক বলেন, “সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনুমতি ছাড়া সড়কে এমন কাজ করার সুযোগ নেই। যারা নিজেরা খনন করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে, তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে সড়ক সংস্কারের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”