রাবিতে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় গ্রেপ্তার ১
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট ময়মনসিংহের ভালুকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সাবিনা ইয়াসমিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তাকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, “আটক ব্যক্তি আমাদের প্রধান সন্দেহভাজন ছিল। তার বিষয়ে তথ্য পাওয়ার পর আমরা পুলিশকে জানাই। বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করার কারণে তাকে ট্রেস করতে কিছুটা সময় লেগেছে। শেষ পর্যন্ত পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।”
প্রসঙ্গত, গত ১২ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক হল ও মসজিদে দুর্বৃত্তরা পবিত্র কোরআন শরিফ পোড়ানোর ঘটনা ঘটায়। একই সঙ্গে, একটি হলের দেয়ালে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রতীক পদ্মফুলের চিহ্ন আঁকা হয়। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন এবং পরদিন শহিদ মিনার মুক্তমঞ্চে কোরআন তেলাওয়াত করে প্রতিবাদ জানান।
ঘটনার পরপরই উপাচার্যের নেতৃত্বে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খানকে আহ্বায়ক করে ৯ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রাথমিক প্রতিবেদন এবং সাত কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।