ঢাকা ০৩:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীর পুঠিয়ায় ঈদের জামাত

গোলাম কিবরিয়া পলাশ, রাজশাহী::

ছবি: চেকপোস্ট

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভা এলাকার কৃষ্ণপুর গ্রামের মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে কৃষ্ণপুর মুসলিম জামে মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে ইমামতি করেন স্থানীয় ইমাম রহিম গাজী। জামাতে মোট ১৯ জন মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন, এর মধ্যে ১৬ জন পুরুষ এবং ৩ জন নারী ছিলেন।

ঈদের নামাজ আদায় করা একাধিক ব্যক্তি জানান, “এ বছর আমি প্রথমবারের মতো এই ঈদ জামাতে নামাজ আদায় করেছি। পূর্বে দেশের প্রচলিত নিয়মে ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করতাম। তবে এবার ঈদের নামাজ আদায়ের পর আগের মতোই আমার অনেক ভালো লাগলো।”

এদিকে, ইমাম রহিম গাজী বলেন, “মানুষ মনে করে সৌদি আরবে ঈদ হচ্ছে, তাই আমাদের এখানে ঈদ হচ্ছে—এটা আসলে সঠিক নয়। চাঁদ শুধু বাংলাদেশ বা সৌদি আরবের জন্য উঠে না। চাঁদ উঠে সারা পৃথিবীর জন্য। যেদিন চাঁদ উঠবে, সেদিন থেকেই রমজান মাস শুরু হয়। পৃথিবীর পরিসীমা বড় হওয়ায় বিভিন্ন দেশ থেকে একই সময়ে চাঁদ দেখা যায় না, সেটাই আমাদের ব্যর্থতা। সৌদি আরব পৃথিবীর মূল কেন্দ্র হওয়ায়, তাদের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ পালন করা হয়। আমরা ৮ থেকে ১০ বছর ধরে এভাবে ঈদ পালন করে আসছি। পূর্বে মুসল্লি কম থাকায় আমরা নিজ বাড়িতেই নামাজ আদায় করতাম, কিন্তু বর্তমানে সংখ্যা বেশি হওয়ায় দুই-তিন বছর ধরে কৃষ্ণপুর মুসলিম মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করা হয়।”

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ০১:৩৩:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫
৫৩২ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহীর পুঠিয়ায় ঈদের জামাত

আপডেট সময় ০১:৩৩:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভা এলাকার কৃষ্ণপুর গ্রামের মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে কৃষ্ণপুর মুসলিম জামে মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে ইমামতি করেন স্থানীয় ইমাম রহিম গাজী। জামাতে মোট ১৯ জন মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন, এর মধ্যে ১৬ জন পুরুষ এবং ৩ জন নারী ছিলেন।

ঈদের নামাজ আদায় করা একাধিক ব্যক্তি জানান, “এ বছর আমি প্রথমবারের মতো এই ঈদ জামাতে নামাজ আদায় করেছি। পূর্বে দেশের প্রচলিত নিয়মে ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করতাম। তবে এবার ঈদের নামাজ আদায়ের পর আগের মতোই আমার অনেক ভালো লাগলো।”

এদিকে, ইমাম রহিম গাজী বলেন, “মানুষ মনে করে সৌদি আরবে ঈদ হচ্ছে, তাই আমাদের এখানে ঈদ হচ্ছে—এটা আসলে সঠিক নয়। চাঁদ শুধু বাংলাদেশ বা সৌদি আরবের জন্য উঠে না। চাঁদ উঠে সারা পৃথিবীর জন্য। যেদিন চাঁদ উঠবে, সেদিন থেকেই রমজান মাস শুরু হয়। পৃথিবীর পরিসীমা বড় হওয়ায় বিভিন্ন দেশ থেকে একই সময়ে চাঁদ দেখা যায় না, সেটাই আমাদের ব্যর্থতা। সৌদি আরব পৃথিবীর মূল কেন্দ্র হওয়ায়, তাদের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ পালন করা হয়। আমরা ৮ থেকে ১০ বছর ধরে এভাবে ঈদ পালন করে আসছি। পূর্বে মুসল্লি কম থাকায় আমরা নিজ বাড়িতেই নামাজ আদায় করতাম, কিন্তু বর্তমানে সংখ্যা বেশি হওয়ায় দুই-তিন বছর ধরে কৃষ্ণপুর মুসলিম মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করা হয়।”