রাজশাহীর দুর্গাপুরে নতুন সড়কের কার্পেটিং এক মাসেই উঠে যাচ্ছে
রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার তিওরকুড়ি থেকে পাঁচবাড়ি হয়ে দেলুয়াবাড়ি পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন গ্রামীণ সড়কের পিচ কার্পেটিং হাত বা পা দিলেই উঠে যাচ্ছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, নিম্নমানের কাজ ও অনিয়মের কারণে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সড়কটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।
সড়কটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) গ্রামীণ সড়ক প্রকল্পের আওতায় নির্মিত হয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা, যা পরে প্রায় ৩ কোটি টাকা পর্যন্ত গড়িয়েছে। নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করেছে চট্টগ্রামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স।
দেলুয়াবাড়ির বাসিন্দা আবু বাক্কার বলেন, “৩ কোটি টাকা খরচ দেখানো হলেও এমন দায়িত্বহীন কাজ মেনে নেওয়া যায় না।”
তিওরকুড়ির বাসিন্দা আনজুয়ারা বেগম বলেন, “মাটি রোলিং না করেই পিচ ঢালাই করা হয়েছে। প্রতিবাদ করলেও ঠিকাদার পাত্তা দেয়নি, এলজিইডির কর্মকর্তারাও আসেননি।”
আরেক স্থানীয় বাসিন্দা মাসুদ রানা বলেন, “পা দিয়ে চাপ দিলেই কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। নতুন সড়কে এমন হওয়ার কথা নয়।”
একজন স্থানীয় ঠিকাদার নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “অ্যাসফল্ট ও বিটুমিন সঠিক অনুপাতে ব্যবহার না করায় এবং নিম্নমানের উপকরণ ঢালাই করায় কার্পেটিং টেকেনি।”
অভিযোগ অস্বীকার করে দুর্গাপুর উপজেলা প্রকৌশলী মাসুক ই মোহাম্মদ বলেন, “সড়কটি ঠিকঠাক নির্মাণ করা হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ সঠিক নয়।”
তবে এলজিইডি রাজশাহীর নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম স্বীকার করে বলেন, “আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে। উপজেলা প্রকৌশলীকে পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। নির্মাণে ত্রুটি ধরা পড়লে ঠিকাদারকে পুনঃনির্মাণের নির্দেশ দেওয়া হবে।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অবহেলা ও দুর্নীতির কারণে সরকারি কোটি টাকার প্রকল্প আজ টেকসই হয়নি। দ্রুত তদন্ত ও পুনর্নির্মাণ না হলে কয়েক মাসের মধ্যেই সড়কটি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা তাদের।










