ঢাকা ০৪:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাউজানে চার ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর

রয়েল দত্ত, রাউজান প্রতিনিধি::

চট্টগ্রামের রাউজানে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালতের পরিচালনায় চারটি অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং একটিকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ১৩ নভেম্বর, বুধবার সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ডাবুয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মেলুয়া এলাকায় এই অভিযানটি পরিচালনা করা হয়। পরিবেশ অধিদপ্তর ঢাকা দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়জুন্নেছা আক্তারের নেতৃত্বে এ অভিযান হয়, যেখানে সেনাবাহিনী, র‌্যাব, পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতা ছিল।

অভিযানে চারটি ইটভাটা—মেসার্স এম আর চৌধুরী ব্রীকস-১, ডি.এন.সি, এম আর চৌধুরী ব্রীকস-২, এবং মেসার্স বেঙ্গল ব্রিকস কোম্পানি-২—গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া, একটি ইটভাটাকে পাহাড় কাটার অভিযোগে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে, এগুলোর চিমনির উচ্চতা ১২০ ফুট, রাবার বাগান ঘেঁসে ইটভাটা স্থাপন করা হয়েছে এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন না থাকায় এগুলো অবৈধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

তবে, এম আর চৌধুরী ব্রীকস-১ ও ২ এর মালিক এস এম শহিদুল্লাহ রনি অভিযোগ করেছেন যে, উচ্চ আদালতের ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও পরিবেশ অধিদপ্তরের এই অভিযান অব্যাহত রেখেছে, যা আদালত অবমাননা বলে দাবি করেছেন তিনি। এই বিষয়ে মামলা করার পরিকল্পনা করছেন তিনি।

পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আশরাফ উদ্দিন জানিয়েছেন, অবৈধ ইটভাটা কার্যক্রমের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে, এবং এমন ধরনের অভিযান পরিবেশ রক্ষা করার অংশ হিসেবে নিয়মিত চালানো হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৬:১৩:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪
৫০৩ বার পড়া হয়েছে

রাউজানে চার ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর

আপডেট সময় ০৬:১৩:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রামের রাউজানে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালতের পরিচালনায় চারটি অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং একটিকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ১৩ নভেম্বর, বুধবার সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ডাবুয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মেলুয়া এলাকায় এই অভিযানটি পরিচালনা করা হয়। পরিবেশ অধিদপ্তর ঢাকা দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়জুন্নেছা আক্তারের নেতৃত্বে এ অভিযান হয়, যেখানে সেনাবাহিনী, র‌্যাব, পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতা ছিল।

অভিযানে চারটি ইটভাটা—মেসার্স এম আর চৌধুরী ব্রীকস-১, ডি.এন.সি, এম আর চৌধুরী ব্রীকস-২, এবং মেসার্স বেঙ্গল ব্রিকস কোম্পানি-২—গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া, একটি ইটভাটাকে পাহাড় কাটার অভিযোগে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে, এগুলোর চিমনির উচ্চতা ১২০ ফুট, রাবার বাগান ঘেঁসে ইটভাটা স্থাপন করা হয়েছে এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন না থাকায় এগুলো অবৈধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

তবে, এম আর চৌধুরী ব্রীকস-১ ও ২ এর মালিক এস এম শহিদুল্লাহ রনি অভিযোগ করেছেন যে, উচ্চ আদালতের ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও পরিবেশ অধিদপ্তরের এই অভিযান অব্যাহত রেখেছে, যা আদালত অবমাননা বলে দাবি করেছেন তিনি। এই বিষয়ে মামলা করার পরিকল্পনা করছেন তিনি।

পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আশরাফ উদ্দিন জানিয়েছেন, অবৈধ ইটভাটা কার্যক্রমের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে, এবং এমন ধরনের অভিযান পরিবেশ রক্ষা করার অংশ হিসেবে নিয়মিত চালানো হবে।