মোংলায় বিশ্ব জলাভূমি দিবস পালিত
বাগেরহাটের রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র পশুর নদী দূষণের মাধ্যমে সুন্দরবনের ক্ষতি করছে। তাই অবিলম্বে কয়লাভিত্তিক রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে বিশ্ব ঐতিহ্য রামসার সাইট সুন্দরবন জলাভূমি রক্ষার দাবি উঠেছে। এছাড়া, সুন্দরবনে বিষ প্রয়োগে মাছ নিধন বন্ধ করতে হবে এবং হরিণ শিকার রোধ করতে হবে। ফারাক্কা বাঁধ ও লবণাক্ততা বৃদ্ধির প্রভাবেও সুন্দরবন জলাভূমি হুমকিতে পড়েছে। নীতিনির্ধারকদের সুন্দরবন জলাভূমি রক্ষার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
২ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকালে বিশ্ব জলাভূমি দিবস উপলক্ষে মোংলার দিগরাজ বিলে ‘ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)’, ‘সুন্দরবন রক্ষায় আমরা’ ও ‘পশুর রিভার ওয়াটারকিপার’-এর আয়োজনে মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সকাল সাড়ে ১১টায় মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ‘সুন্দরবন রক্ষায় আমরা’র সমন্বয়কারী ও ‘পশুর রিভার ওয়াটারকিপার’ মোঃ নূর আলম শেখ। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ‘ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)’র নেত্রী কমলা সরকার, নাজমুল হক, আব্দুর রশিদ হাওলাদার, ‘সুন্দরবন রক্ষায় আমরা’র নেতা হাছিব সরদার, ছবি হাজরা, ‘পশুর রিভার ওয়াটারকিপার’ ভলান্টিয়ার মারুফ বিল্লাহ, মেহেদী হাসান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সুন্দরবন জলাভূমির গুরুত্ব অপরিসীম বিধায় ১৯৯২ সালে এটি ৫৬০তম রামসার সাইট হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। ‘ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)’র নেতা ও জেলে সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ হাওলাদার বলেন, সুন্দরবনে দূষণ বেড়ে যাওয়ায় নদী ও খাল মাছশূন্য হতে চলেছে। একদিকে ফারাক্কা বাঁধের বিরূপ প্রভাব, অন্যদিকে শিল্পদূষণের ভারে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন জলাভূমি বিপন্ন।
সভাপতির বক্তব্যে ‘সুন্দরবন রক্ষায় আমরা’র সমন্বয়কারী ও ‘পশুর রিভার ওয়াটারকিপার’ মোঃ নূর আলম শেখ বলেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিষাক্ত পারদের কারণে সুন্দরবনের প্রাণ পশুর নদী মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে। এর ফলে সুন্দরবনের নদী ও খালের জলজপ্রাণী হুমকিতে পড়েছে। বন্যপ্রাণী হত্যা ও পাচার এবং নদীখালে বিষ প্রয়োগের ফলে সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্র উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, অবিলম্বে সুন্দরবনবিনাশী রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে বিশ্ব ঐতিহ্য রামসার সাইট সুন্দরবন জলাভূমিকে রক্ষা করতে হবে।