মেলান্দহে দুই আ.লীগ নেতা রাতের আঁধারে সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত
ফ্যাসিস আওয়ামী লীগের কথিত কর্মসূচি বাস্তবায়নে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দুই নেতা। ওই দুই নেতা দিনে নিরব থাকলেও রাতের অন্ধকারে ইউনিয়নের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে গণসংযোগ এবং সরকার বিরোধী নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন।
অভিযোগ উঠেছে, বিগত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস আওয়ামী লীগের পতনের পর গা-ঢাকা দেয় দলটির নেতা-কর্মীরা। দলের কথিত কর্মসূচিকে সামনে রেখে ফের ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে শুরু করেছে কতিপয় নেতা-কর্মীরা। মাহমুদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোখলেছুর রহমান মাস্টার ও ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে দলটির ঘাপটি মেরে থাকা কর্মীরা গর্ত থেকে বের হতে শুরু করেছে। দিনে তাদের কর্মকান্ড তেমন চোখে না পড়লেও সন্ধ্যার পর থেকেই সরকার বিরোধী নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, মাহমুদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোখলেছুর রহমান মাস্টার বিগত সরকারের সময় এলাকার সংসদ সদস্য’র ছত্র ছায়ায় চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত ছিলেন। সালিশ বৈঠকের নামে গ্রামের নিরিহ মানুষকে বেকায়দায় ফেলে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। বিদেশে পাঠানোর প্রলোভনে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। সংসদ সদস্যর প্রভাব খাটিয়ে কথিত লিজের নামে সরকারের খাস জমি দখল ছাড়াও গ্রামের নিরিহ মানুষের জমি জবরদখল করেছেন। খাসীমারা পুটিয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক থাকার সময়ও তার নামে প্রতারণার তিনটি মামলাও দায়ের হয়েছিল। জাল সনদ তৈরি, বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাত এবং প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার একাধিক ঘটনায় মামলাও দায়ের হয়।
এ ছাড়াও ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে বিগত সরকারের সময় এক কিশোরকে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠে। অভিযোগ রয়েছে নিরিহ মানুষের জমি জবরদখল করারও। তৎকালীন সময়ের প্রভাবশালী সাংসদের আস্থাভাজন হওয়ায় এখনো বহাল তবিয়তে চালিয়ে যাচ্ছেন নানা অপকর্ম।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগীরা জানান, সন্ধ্যার পর থেকে আওয়ামী লীগের কর্মকান্ডে সক্রিয় হলেও দিনের বেলা তারা নিরব থাকেন। স্থানীয় বিএনপির কতিপয় প্রভাবশালী কর্মীর সাথে গভীর সখ্যতা থাকায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেয়না পুলিশ। ফ্যাসিস আওয়ামী লীগের অভিযুক্ত দুই নেতার বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর দ্রুত পদক্ষেপ নেবে বলে মনে করছেন ভুক্তভোগীরা।