মুড়িয়াউক উচ্চ বিদ্যালয়ে পিবিজিএসডিই’র প্রকল্পের হিসাবে নয় ছয় এর অভিযোগ
হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার মুড়িয়াউক উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ অর্থ বছরের পিবিজিএসইডি’র আওতায় ব্যয় খরচে নয় ছয়ের অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা সৈয়দা সুলতানার বিরুদ্ধে । অনুসন্ধানে জানা যায় গত ২০২২-২৩ অর্থ বছরে বিদ্যালয়ের শৌচাগার, ছাত্রীদের কমনরুম, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, লাইব্রেরির জন্য বই ক্রয়, সুবিধাবঞ্চিত ছাত্র/ছাত্রীদের ও শিক্ষকদের জন্য আর্থিক অনুদানের খরচে নয় ছয় এর ঘটনা ঘটেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে যে, বিদ্যালয়ে নেই শৌচাগার, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থার জন্য টিউবওয়েল, কমনরুমের কোন অস্তিত খোঁজে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা সৈয়দা সুলতানার কাছে খরচের ব্যয় সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি জানান, ১৫ জন শিক্ষার্থীদের প্রত্যেক কে ৫ হাজার টাকা বিতরণ করেছে ও শিক্ষকদের মাঝে প্রনোদনার টাকা বিতরণ করেছে রেজিস্ট্রার খাতায় লিপিবদ্ধ আছে কিন্তু অন্যান্য কাজের কোন ধরনের ব্যয়ের বিপরীতে কোন খরচের ভাউচার উপস্থাপন বা দেখাতে পারেনি। বিদ্যালয়ের তৎসময়ের সভাপতি কে ছিলেন জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষিকা বলেন কে সভাপতি ছিলেন ঠিক আমার মনে নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় শৌচাগার নির্মাণের, কমনরুম ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা খাতে বরাদ্দ ১ লাখ ৫ হাজার টাকা কিন্তু এ সব খরচের হিসাববাবদ ভাউচার দেখাতে বললে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা এ প্রতিনিধি কে জানান অনেক দিন আগের বিষয় কোথায় আছে খুঁজে যদি পাই তা হলে আপনা কে দেখাব। পরে বলে যদি কোথাও পাওয়া যায় তা হলে আপনাকে জানাব। কিন্তু পরবর্তীতে তার মোবাইল নম্বরে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান আমার বাবা ষ্ট্রোক করেছে তাই আমি খুব ব্যস্থ আছি। সময় হলে আপনাকে জানাব।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আলতাফ হোসেনের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন এ কাজ গুলি আমি এ উপজেলায় যোগদান করার আগের তাই আমি কিছু বলতে পারব না। এখন তো জেনেছেন এ সম্পর্কে আপনার বক্তব্য কি জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি খোঁজ নিয়ে বা তদন্ত করে যদি সত্যতা পাওয়া যায় তা হলে আমার উর্ধতন কর্তৃপক্ষ কে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।