মাদারগঞ্জে তালাক দেওয়ায় সাবেক স্ত্রীসহ ৩ জনকে কুপিয়ে জখম: অভিযুক্ত আটক
জামালপুরের মাদারগঞ্জে তালাকের জেরে সাবেক স্ত্রীসহ তিনজনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে এক ব্যক্তি। স্থানীয়রা অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার গুনারীতলা ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার ডুয়ারি উত্তরপাড়া এলাকার আব্দুল ওয়াজেদের ছেলে ওমর ফারুক (৪৫) এর সঙ্গে একই এলাকার রওশন আরা (৩৫) এর বিয়ে হয়েছিল। দীর্ঘ ৯ বছরের দাম্পত্য কলহের কারণে প্রায় দুই বছর আগে রওশন আরা তাকে তালাক দিয়ে জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার গুনারীতলা নিশ্চিন্তপুর এলাকার অটোচালক মঞ্জুরুল কবির (৬০)-এর সঙ্গে নতুন সংসার গড়েন। তাদের ঘরে একটি ছেলে সন্তানও জন্ম নেয়।
তালাকের পরও রওশন আরাকে ফিরে পেতে একাধিকবার চেষ্টা করেন ওমর ফারুক। কিন্তু তার চেষ্টায় সাড়া না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে মঙ্গলবার বিকেলে রওশন আরার বাড়িতে যান তিনি। সঙ্গে ব্যাগে করে একটি দা নিয়ে আসেন। বাড়িতে ঢুকে তিনি রওশন আরাকে কুপিয়ে জখম করেন। তার চিৎকার শুনে ভাতিজা শিপন মিয়া ও ফুপু শাশুড়ি সুফিয়া খাতুন তাকে বাঁচাতে এলে তাদেরও কুপিয়ে জখম করা হয়।
এ সময় স্থানীয়রা ওমর ফারুককে ধরে ফেলে এবং পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। আহতদের উদ্ধার করে মাদারগঞ্জ ১০০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাদের জামালপুর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
রাতে রওশন আরার বর্তমান স্বামী মঞ্জুরুল কবির বাদী হয়ে ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে।
অভিযুক্ত ওমর ফারুক দাবি করেছেন, তার স্ত্রী তাকে তালাক না দিয়েই অন্যত্র বিয়ে করেছেন, যা তার জন্য মেনে নেওয়া কঠিন ছিল। তার সংসারে তিনটি সন্তান রয়েছে, যারা কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। ক্ষোভ ও রাগের বশে তিনি এই হামলা চালিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।