মশার অত্যাচারে অতিষ্ঠ রাজশাহী নগরবাসী
রাজশাহী নগরীতে ভয়াবহ মশার উপদ্রবে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বাসিন্দারা। পবিত্র রমজান মাসে ইফতার ও সেহরির সময় মশার কামড়ে নগরবাসী আরও বেশি দুর্ভোগের মধ্যে পড়ছেন। কয়েল, স্প্রে, ইলেকট্রিক ব্যাট কিংবা মশারি টানিয়েও মশার উৎপাত থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না কেউ।
নগরবাসীর অভিযোগ, বর্তমানে মেয়র ও কাউন্সিলর না থাকায় সিটি করপোরেশনের মশক নিধন কার্যক্রম কার্যকরভাবে পরিচালিত হচ্ছে না। অন্যদিকে, সিটি করপোরেশন বলছে, এখন মশার প্রজনন মৌসুম হওয়ায় এর সংখ্যা বেড়েছে, তবে অন্যান্য শহরের তুলনায় রাজশাহীতে মশার পরিমাণ কম।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরীর রাস্তাঘাট, অফিস-আদালত, হাসপাতাল, মসজিদ, মাদ্রাসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ প্রায় সব জায়গায় মশার উপদ্রব মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। বহুতল ভবনের উপরের তলাগুলোতেও মশার দৌরাত্ম্য কমছে না, আর নিচতলার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ।
বিশেষ করে হাসপাতালের রোগী ও স্বজনরা চরম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছেন। দিনের বেলাতেও শিক্ষার্থীরা মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন, যা তাদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা শেখ মো. মামুন ডলার জানান, “বর্তমানে মশার সংখ্যা বেড়েছে, কারণ এটি তাদের প্রজনন মৌসুম। এছাড়া, অনেকেই বাড়ির আশপাশের ঝোপঝাড় পরিষ্কার রাখছেন না, ছাদবাগানের টবের জমে থাকা পানি থেকেও মশার বংশবৃদ্ধি হচ্ছে। নাগরিকরা যদি সচেতন হন, তাহলে মশার সংখ্যা কমবে।”
তিনি আরও বলেন, আমাদের শহরে মশার পরিমাণ তুলনামূলক কম। তবে, এখন লার্ভিসাইড ও ফগার মেশিনের ওষুধের মজুত খুবই কম রয়েছে। নতুন ওষুধ কেনার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে, যা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ রবিবার। আশা করছি, এক সপ্তাহের মধ্যে ঠিকাদার কার্যাদেশ পেয়ে যাবে, এরপর মশক নিধন কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে।
নগরবাসী আশা করছেন, দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিয়ে মশার উপদ্রব কমানো হবে। পাশাপাশি, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদার ও নিয়মিত ফগিং চালিয়ে স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।