ঢাকা ০৬:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভুয়া সনদে চাকরি: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ

এম এ ওয়াহেদ, লাখাই::

হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার ৬ নম্বর বুল্লা ইউনিয়নের ফরিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশপ্রহরী আরিফুর রহমানের বিরুদ্ধে ভুয়া সনদ ব্যবহার করে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে ফরিদপুর গ্রামের মৃত আলীম উদ্দিনের ছেলে আরিফুর রহমান নবীগঞ্জ উপজেলার গোলডুবা এমসি উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি না হয়েও একটি জাল সনদের মাধ্যমে নিয়োগ পান। অভিযোগ রয়েছে যে, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রভাব খাটিয়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে এই চাকরি বাগিয়ে নেন তিনি।

এ বিষয়ে আরিফুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তিনি নবীগঞ্জ গোলডুবা উচ্চ বিদ্যালয়ের সনদ ব্যবহার করে চাকরিতে যোগদান করেছেন। তবে, ফরিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মশিউর রহমান বলেন, “আমি বিদ্যালয়ে যোগদানের আগেই আরিফুর রহমান চাকরিতে যোগ দিয়েছেন, তাই এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারব না। তবে তৎকালীন প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটি এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন।”

তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন জানান, “নিয়োগ বোর্ড কীভাবে দপ্তরীর পদে নিয়োগ দিয়েছে, সে বিষয়ে আমার বিস্তারিত জানা নেই।” স্থানীয়দের মতে, আরিফুর রহমান তৎকালীন উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃত্বকে ব্যবহার করে ভূয়া সনদের মাধ্যমে চাকরি পেয়েছেন, যা এলাকায় ওপেন সিক্রেট হিসেবে পরিচিত। তবে সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে।

এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জামাল উদ্দীন বলেন, “যদি ফরিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরীর নিয়োগে অনিয়ম হয়ে থাকে এবং কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়, তবে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তবে, সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাহাব উদ্দীনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এছাড়া, অভিযোগ রয়েছে যে বর্তমান প্রধান শিক্ষক মশিউর রহমানের ছোট ভাই আরিফুর রহমানই এই পদে কর্মরত রয়েছেন।

 

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১২:৪৭:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৬৫৪ বার পড়া হয়েছে

ভুয়া সনদে চাকরি: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ

আপডেট সময় ১২:৪৭:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার ৬ নম্বর বুল্লা ইউনিয়নের ফরিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশপ্রহরী আরিফুর রহমানের বিরুদ্ধে ভুয়া সনদ ব্যবহার করে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে ফরিদপুর গ্রামের মৃত আলীম উদ্দিনের ছেলে আরিফুর রহমান নবীগঞ্জ উপজেলার গোলডুবা এমসি উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি না হয়েও একটি জাল সনদের মাধ্যমে নিয়োগ পান। অভিযোগ রয়েছে যে, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রভাব খাটিয়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে এই চাকরি বাগিয়ে নেন তিনি।

এ বিষয়ে আরিফুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তিনি নবীগঞ্জ গোলডুবা উচ্চ বিদ্যালয়ের সনদ ব্যবহার করে চাকরিতে যোগদান করেছেন। তবে, ফরিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মশিউর রহমান বলেন, “আমি বিদ্যালয়ে যোগদানের আগেই আরিফুর রহমান চাকরিতে যোগ দিয়েছেন, তাই এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারব না। তবে তৎকালীন প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটি এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন।”

তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন জানান, “নিয়োগ বোর্ড কীভাবে দপ্তরীর পদে নিয়োগ দিয়েছে, সে বিষয়ে আমার বিস্তারিত জানা নেই।” স্থানীয়দের মতে, আরিফুর রহমান তৎকালীন উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃত্বকে ব্যবহার করে ভূয়া সনদের মাধ্যমে চাকরি পেয়েছেন, যা এলাকায় ওপেন সিক্রেট হিসেবে পরিচিত। তবে সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে।

এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জামাল উদ্দীন বলেন, “যদি ফরিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরীর নিয়োগে অনিয়ম হয়ে থাকে এবং কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়, তবে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তবে, সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাহাব উদ্দীনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এছাড়া, অভিযোগ রয়েছে যে বর্তমান প্রধান শিক্ষক মশিউর রহমানের ছোট ভাই আরিফুর রহমানই এই পদে কর্মরত রয়েছেন।