ঢাকা ০৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বীরগঞ্জে প্রচন্ড শীত ও ঘন কুয়াশায় জনজীবনে বিপর্যয়

প্রসেনজিৎ চন্দ্র শর্মা,দিনাজপুর::

মাঘের শীতে নাজেহাল দেশের উত্তরের জেলা দিনাজপুরের বীরগঞ্জ। হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় প্রতিবছর এখানে শীতের তীব্রতা বেশি থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। ঘন কুয়াশার সঙ্গে বৃষ্টির মতো ঝরছে শিশির। হিমেল ঠান্ডা হাওয়ায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কারণে জনজীবন কাহিল হয়ে পড়েছে এ জেলায়। টানা কয়েকদিন ধরে ক্রমশই কমছে রাতের তাপমাত্রা। প্রতিনিয়তই হচ্ছে তাপমাত্রার ছন্দপতন।

উপজেলায় সন্ধ্যায় নেমে আসছে ঘন কুয়াশা। ঘন কুয়াশার কারণে সন্ধ্যাতেই ধীর গতিতে যানবাহন চলছে। সকালে পৌর শহরের ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়কে দূরপাল্লার গাড়িগুলো হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। দুপুরে সূর্যের দেখা মিললেও নেই তাপমাত্রা। বিকাল হলেই শুরু হয় বাতাস, কনকনে ঠান্ডার কারণে বিপর্যস্ত শিশু ও বয়স্কদের জনজীবন। রাতের হিমশীতল বাতাসের কারণে এ উপজেলায় শীতের তীব্রতা বেশি বিরাজ করছে। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় সন্ধ্যায় ও সকালে রাস্তায় কমেছে মানুষের চলাচলও।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারী) দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উষ্ণতার আশায় কেউ কেউ আগুন জ্বালিয়ে শরীর গরম করে নিচ্ছে। অন্যদিকে তীব্র এই শীতকে উপেক্ষা করেই কৃষকরা মাঠে বীজতলার কাজ করছে এবং দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান ও অটোচালকরা।

পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের সনাতনপাড়া এলাকার ভ্যানচালক জোনাকু দেবনাথ বলেন, গরীব মানুষের বসে থাকার উপায় নেই। সংসারের কথা ভেবে বয়স্ক হলেও প্রতিদিন বাধ্য হয়ে রাস্তায় বের হয়েছি। যতই শীত হোক, দিন এনে দিন খাই। বিজয় চত্বর এলাকার ফল ব্যবসায়ী হান্নান শাহ বলেন, শীতের কারণে মানুষজন সন্ধ্যার পর না থাকায় দোকান বন্ধ করতে হয়। আগের তুলনায় বেচাকেনা নেই বলে জানান দোকানদাররা।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, রবিবার সকাল ৬টায় দিনাজপুরের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ। বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২ কিলোমিটার।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৫:২৯:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৫০৬ বার পড়া হয়েছে

বীরগঞ্জে প্রচন্ড শীত ও ঘন কুয়াশায় জনজীবনে বিপর্যয়

আপডেট সময় ০৫:২৯:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মাঘের শীতে নাজেহাল দেশের উত্তরের জেলা দিনাজপুরের বীরগঞ্জ। হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় প্রতিবছর এখানে শীতের তীব্রতা বেশি থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। ঘন কুয়াশার সঙ্গে বৃষ্টির মতো ঝরছে শিশির। হিমেল ঠান্ডা হাওয়ায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কারণে জনজীবন কাহিল হয়ে পড়েছে এ জেলায়। টানা কয়েকদিন ধরে ক্রমশই কমছে রাতের তাপমাত্রা। প্রতিনিয়তই হচ্ছে তাপমাত্রার ছন্দপতন।

উপজেলায় সন্ধ্যায় নেমে আসছে ঘন কুয়াশা। ঘন কুয়াশার কারণে সন্ধ্যাতেই ধীর গতিতে যানবাহন চলছে। সকালে পৌর শহরের ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়কে দূরপাল্লার গাড়িগুলো হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। দুপুরে সূর্যের দেখা মিললেও নেই তাপমাত্রা। বিকাল হলেই শুরু হয় বাতাস, কনকনে ঠান্ডার কারণে বিপর্যস্ত শিশু ও বয়স্কদের জনজীবন। রাতের হিমশীতল বাতাসের কারণে এ উপজেলায় শীতের তীব্রতা বেশি বিরাজ করছে। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় সন্ধ্যায় ও সকালে রাস্তায় কমেছে মানুষের চলাচলও।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারী) দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উষ্ণতার আশায় কেউ কেউ আগুন জ্বালিয়ে শরীর গরম করে নিচ্ছে। অন্যদিকে তীব্র এই শীতকে উপেক্ষা করেই কৃষকরা মাঠে বীজতলার কাজ করছে এবং দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান ও অটোচালকরা।

পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের সনাতনপাড়া এলাকার ভ্যানচালক জোনাকু দেবনাথ বলেন, গরীব মানুষের বসে থাকার উপায় নেই। সংসারের কথা ভেবে বয়স্ক হলেও প্রতিদিন বাধ্য হয়ে রাস্তায় বের হয়েছি। যতই শীত হোক, দিন এনে দিন খাই। বিজয় চত্বর এলাকার ফল ব্যবসায়ী হান্নান শাহ বলেন, শীতের কারণে মানুষজন সন্ধ্যার পর না থাকায় দোকান বন্ধ করতে হয়। আগের তুলনায় বেচাকেনা নেই বলে জানান দোকানদাররা।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, রবিবার সকাল ৬টায় দিনাজপুরের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ। বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২ কিলোমিটার।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/checkpostcom/public_html/wp-includes/functions.php on line 5464