বিএনপির আহবায়ক তুহিনের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
বাগেরহাটের রামপাল উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক শেখ হাফিজুর রহমান তুহিনের বিরুদ্ধে পোল্ট্রি ও ফিড ব্যবসায়ীর সোয়া ৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটানায় রামপাল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক শেখ হাফিজুর রহমান তুহিন পোল্ট্রি ব্যবসা করে আসছেন। তিনি তার ফার্মের জন্যে ইসলামাবাদ গ্রামের মৃত নওশের কুদরতির ছেলে পোল্ট্রি ও ফিড ব্যবসায়ী নাজিম কুদরতির কাছ থেকে ৩ কিস্তিতে মোট ৫ লক্ষ ২৪ হাজার ২৭৫ টাকার মূল্যের মুরগীর বাচ্চা, ফিড ও ঔষধ বাকিতে নেন। তিনি গত ইং ২-৬-২৪ তারিখে মুরগির বাচ্চা, খাবার ও প্রয়োজনীয় ঔষধ নেন। যার প্রথম কিস্তিতে বাকি নেন ৪৪ হাজার ২০০ টাকার। দ্বিতীয় কিস্তিতে বাকী নেন ৩ হাজার ৪ টাকার ঔষধ। তৃতীয় কিস্তিতে পুনরায় ১৮০০ শত মুরগীর বাচ্চা যার মূল্য ৬৮ হাজার ৪০০ টাকা, ১০৭ বস্তা (৫০ কেজির) ফিড যার মূল্য ৩ লাখ ৭৭ হাজার টাকা ও ৩১ হাজার টাকার ঔষধ নেন। এতে তিনি মোট ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৫৭৫ টাকার বাকীতে মালামাল নেন।
পাওনা টাকার মধ্যে বাইনতলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তরফদার জিল্লুর রহমানের মারফত ১ লক্ষ টাকা পরিশোধ করেন। বাকী ৪ লাখ ২৪ হাজার ২৭৫ টাকা পরিশোধ না করে ঘুরাতে থাকেন। গত ইংরেজি ১৭ অক্টোবর তুহিনের কাছে পাওনা টাকা চাইলে তার লোকজনকে দিয়ে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেন এবং পাওনা টাকা দিবেন বলে জানিয়ে দেন।
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শেখ হাফিজুর রহমান তুহিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এক পুলিশের মারফত শুনেছি নাজিম অভিযোগ করেছে। আমি কোন পোল্ট্রির ব্যবসা করি না। সেটি সাংবাদিকেরাও জানেন। যদি আমার কাছে টাকা পাওয়ার বিষয়টি প্রমাণ করতে পারে তবে আমি তার অভিযোগ মেনে নিবো। আমার প্রতিপক্ষ আমার জনপ্রিয়তাকে নষ্ট করার জন্যে এবং মান সম্মান নষ্ট করার জন্যে মিথ্যা ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছে।
এ বিষয়ে রামপাল থানার ওসি সেলিম রেজার কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে সমস্যার সমাধান করা হবে।