বাগেরহাটে ১৭ বছর পর বিএনপির বিশাল জনসভা, বরকত উল্লাহ বুলুর কঠোর বক্তব্য
বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, “সৈরাচার শেখ হাসিনা যে অপরাধ করেছে, হাজার বার ফাঁসি দিলেও তার বিচার যথেষ্ট হবে না। গত ১৭ বছরে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা, নির্যাতন, মিথ্যা মামলা ও গুম করা হয়েছে। এসব অপরাধের বিচার এই বাংলায় করতে হবে।” তিনি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সহনীয় পর্যায়ে রাখা এবং অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির দাবি জানান।
২৩ ফেব্রুয়ারি রবিবার বিকেলে হযরত খানজাহান (রহঃ) মাজার সংলগ্ন ষাটগম্বুজ ইউনিয়ন পরিষদের মাঠে বাগেরহাট জেলা বিএনপির জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বরকত উল্লাহ বুলু এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, “নির্বাচিত সরকারই কেবল দেশের সংস্কার ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পারে। বর্তমানে দেশকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এখন বাসে ডাকাতি হচ্ছে, লাশ পড়ে থাকছে, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি ঘটেছে।” তিনি আরও বলেন, বিগত ১৭ বছরে আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে, দিনের ভোট রাতে হয়েছে। দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। সংস্কারের নামে নির্বাচন বিলম্বিত করার কোনো তালবাহানা মেনে নেওয়া হবে না।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার এটিএম আকরাম হোসেন তালিমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামিমুর রহমান শামিম, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মুজিবুর রহমান, এড. ওহিদুজ্জামান দিপু, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও প্রধান সমন্বয়ক এমএ সালাম, কামরুল ইসলাম গোরা, সদস্য সচিব মোজাফ্ফর রহমান আলম, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও পিসি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি খাদেম মিয়ামুল নাসির আলাপ, ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম, প্রকৌশলী মাসুদ রানা, ব্যারিস্টার জাকির হোসেন, খান মনিরুল ইসলাম, এড. ফারহানা জাহান নিপা, মহিলা দলের সভানেত্রী সাহিদা আক্তার, কেন্দ্রীয় তাঁতীদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান প্রমুখ।
জেলা বিএনপি নেতা হাদিউজ্জামান হিরো ও সরদার ওলিউর রহমান পল্টুর সঞ্চালনায় এ সমাবেশে রাষ্ট্রের ফ্যাসিবাদী চক্রান্তের অপচেষ্টা মোকাবেলা এবং বিভিন্ন জনদাবি তুলে ধরেন বক্তারা।
দুপুর থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে ১৭ বছর পর আয়োজিত এই বিশাল সমাবেশে যোগ দেন।