ঢাকা ১১:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাগেরহাটের লতিফ মাস্টার ফাউন্ডেশনের কর্মযজ্ঞে মুগ্ধ সমাজ কল্যাণ সচিব ও কৃষিবিদরা

হারুন শেখ, বাগেরহাট প্রতিনিধি::

বাগেরহাটের লতিফ মাস্টার ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম পরিদর্শন করতে এসে ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা দেখে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. মহিউদ্দিন।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বাগেরহাট সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বেশরগাতী গ্রামে ফাউন্ডেশনটির আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন তিনি। ফাউন্ডেশনটির কার্যক্রম দেখে সামাজিক সেবা ও জনকল্যাণে অবদান রাখার জন্য তিনি ফাউন্ডেশনটিকে প্রশংসা করেন।

সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবের পাশাপাশি, ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করা একঝাঁক কৃষিবিদও ফাউন্ডেশনটির কার্যক্রম দেখতে আসেন। তারা সকলেই বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেছেন, অনেকেই বর্তমানে দায়িত্বে আছেন।

ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে ড. মো. মহিউদ্দিন মুগ্ধ হয়ে বলেন, এই সংগঠনের সাফল্য সত্যি প্রশংসনীয়। এখানে এতিম ও বৃদ্ধদের জন্য যে পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে, তা ঢাকার অনেক প্রতিষ্ঠানে আমি দেখিনি।

ফাউন্ডেশনে নির্মিত স্বপ্ন নীড় এতিম ও বৃদ্ধ নিবাস এবং রকেট স্পোর্টিং ক্লাবসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে গড়ে তোলা আধুনিক সুযোগ-সুবিধা দেখে তিনি জানান, এটি একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। বিশেষ করে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প এবং ফাউন্ডেশনে নির্মিত মসজিদ দেখে তিনি বলেন, এটি গরিব ও অসহায় মানুষের জন্য অমূল্য সম্পদ।

এদিন ফাউন্ডেশনটির কার্যক্রম পরিদর্শনে আরও উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিভাগীয় প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ লুতফর রহমান, জেলা সমাজ সেবা উপ-পরিচালক এস. এম. রফিকুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডাঃ হাবিবুর রহমান, এবং জেলা জজ আদালতের আইনজীবী সমিতির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব শেখ মোশারফ হোসেন মন্টু। এছাড়াও অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।

ফাউন্ডেশনটি প্রবর্তিত স্বপ্ন নীড়সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলি সমাজের অসহায় ও দরিদ্র জনগণের জন্য একটি মহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এটি ভবিষ্যতে আরও উন্নতির পথে এগিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন উপস্থিত সকল বক্তারা।

এসময় রফিকুল ইসলাম জগলু ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আমেরিকা থেকে পিতৃভূমির এই কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন।

ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা জানান, তারা ভবিষ্যতে আরও বৃহত্তর কার্যক্রম গ্রহণ করার পরিকল্পনা করছেন এবং সমাজের সুবিধাবঞ্চিত জনগণের জন্য একাধিক সেবা কার্যক্রম চালু রাখবেন।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৭:১৫:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৫৫৯ বার পড়া হয়েছে

বাগেরহাটের লতিফ মাস্টার ফাউন্ডেশনের কর্মযজ্ঞে মুগ্ধ সমাজ কল্যাণ সচিব ও কৃষিবিদরা

আপডেট সময় ০৭:১৫:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বাগেরহাটের লতিফ মাস্টার ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম পরিদর্শন করতে এসে ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা দেখে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. মহিউদ্দিন।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বাগেরহাট সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বেশরগাতী গ্রামে ফাউন্ডেশনটির আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন তিনি। ফাউন্ডেশনটির কার্যক্রম দেখে সামাজিক সেবা ও জনকল্যাণে অবদান রাখার জন্য তিনি ফাউন্ডেশনটিকে প্রশংসা করেন।

সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবের পাশাপাশি, ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করা একঝাঁক কৃষিবিদও ফাউন্ডেশনটির কার্যক্রম দেখতে আসেন। তারা সকলেই বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেছেন, অনেকেই বর্তমানে দায়িত্বে আছেন।

ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে ড. মো. মহিউদ্দিন মুগ্ধ হয়ে বলেন, এই সংগঠনের সাফল্য সত্যি প্রশংসনীয়। এখানে এতিম ও বৃদ্ধদের জন্য যে পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে, তা ঢাকার অনেক প্রতিষ্ঠানে আমি দেখিনি।

ফাউন্ডেশনে নির্মিত স্বপ্ন নীড় এতিম ও বৃদ্ধ নিবাস এবং রকেট স্পোর্টিং ক্লাবসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে গড়ে তোলা আধুনিক সুযোগ-সুবিধা দেখে তিনি জানান, এটি একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। বিশেষ করে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প এবং ফাউন্ডেশনে নির্মিত মসজিদ দেখে তিনি বলেন, এটি গরিব ও অসহায় মানুষের জন্য অমূল্য সম্পদ।

এদিন ফাউন্ডেশনটির কার্যক্রম পরিদর্শনে আরও উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিভাগীয় প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ লুতফর রহমান, জেলা সমাজ সেবা উপ-পরিচালক এস. এম. রফিকুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডাঃ হাবিবুর রহমান, এবং জেলা জজ আদালতের আইনজীবী সমিতির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব শেখ মোশারফ হোসেন মন্টু। এছাড়াও অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।

ফাউন্ডেশনটি প্রবর্তিত স্বপ্ন নীড়সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলি সমাজের অসহায় ও দরিদ্র জনগণের জন্য একটি মহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এটি ভবিষ্যতে আরও উন্নতির পথে এগিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন উপস্থিত সকল বক্তারা।

এসময় রফিকুল ইসলাম জগলু ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আমেরিকা থেকে পিতৃভূমির এই কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন।

ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা জানান, তারা ভবিষ্যতে আরও বৃহত্তর কার্যক্রম গ্রহণ করার পরিকল্পনা করছেন এবং সমাজের সুবিধাবঞ্চিত জনগণের জন্য একাধিক সেবা কার্যক্রম চালু রাখবেন।