প্রবাসীদের প্রতি অবহেলা: শাহজালাল বিমানবন্দরে এক প্রবাসীকে আঘাত
হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে ৮ জানুয়ারি ঘটে যাওয়া এক বিতর্কিত ঘটনায় প্রবাসী একজনকে শারীরিকভাবে আঘাত করার পর বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। প্রবাসী এক ব্যক্তিকে হেনস্তা করার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে, যা নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
কন্টেন্ট ক্রিয়েটার এম মাসুদ তার ইউটিউব চ্যানেলে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রবাসী আমাদের দেশের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখে, অথচ তার সম্মান রক্ষা করা হচ্ছে না। প্রবাসী যদি টাকা পাঠায়, তবে তাকে দেশের সীমানায় সম্মানিত করা উচিত, না হলে তাকে কোথায় গিয়ে বসতে হবে, মালিবাগের মোড় বা ভারতের বর্ডারে।
এছাড়া তিনি উপদেষ্টা হাসিব নজরুলকে ইঙ্গিত করে বলেন, এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, না হলে কিছু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্য, যারা পূর্ববর্তী সরকারের সময়ে নিয়োগ পেয়েছেন, তারা বর্তমান সরকারকে বিপদে ফেলছে এই ধরনের কাজের মাধ্যমে।
মোস্তফা ফিরোজ তার ইউটিউব ভিডিও সংবাদ পর্যালোচনায় সিভিল এভিয়েশন উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, যাত্রী যদি অন্যায় করে থাকে, তাহলে তাকে রক্তাক্ত না করে আইনের হাতে সোপর্দ করা উচিত ছিল।
এদিকে, চিত্র পরিচালকও তার ইউটিউব চ্যানেলে এ ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং পূর্ববর্তী সরকারের তথ্য প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ পলকের কথা তুলে ধরেন, যিনি একসময় প্রবাসীদের দেশে টাকা পাঠানোর ব্যাপারে আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি উল্লেখ করেন, তখন প্রবাসীরা ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছিল, কিন্তু এখন প্রবাসীদের জন্য কিছু কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে, যা আসলে আই ওয়াশ মাত্র।
সাংবাদিক মিরাজ হোসেন গাজী তার ইউটিউব চ্যানেলে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের ভিডিও ফুটেজ এবং তাদের বক্তব্যের মধ্যে অমিল দেখেন এবং বলেন,কর্তৃপক্ষ যে ভিডিও ফুটেজটি প্রকাশ করেছে, তা শুধুমাত্র তাদের দায় এড়ানোর জন্য।
গণ অধিকার পরিষদের মো. তারেক রহমান শুক্রবার দলীয় কর্মীদের নিয়ে একটি প্রতিবাদী বক্তব্য রাখেন। তিনি দাবি করেন, প্রবাসীদের জন্য সরকারের অব্যাহত দুঃখজনক অবহেলা এখন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
এই ঘটনা প্রবাসীদের মধ্যে একটি বিরূপ মনোভাব সৃষ্টি করেছে, বিশেষত মধ্যপ্রাচ্যসহ অন্যান্য দেশের প্রবাসীরা যখন এসব খবর দেখেছে, তখন তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাদের মতে, সরকার তাদের জন্য বেশ কিছু সুবিধা দেওয়ার কথা বললেও, বাস্তবতা অন্যরকম।